রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুতের মাসুল আগেই বেড়েছে। এ বার সিইএসসি-এলাকাতেও দাম বাড়ছে। সংস্থা-সূত্রের খবর: সিইএসসি’র প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় মাসুল ৫ টাকা ১৯ পয়সা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৫ টাকা ৮৮ পয়সা। মঙ্গলবার রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এই সংক্রান্ত নোটিস দিয়েছে বলে সিইএসসি-র দাবি।
সিইএসসি-কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, সংস্থার প্রায় ২৫ লক্ষ গ্রাহকের পরের বিলেই বর্ধিত মাসুল কার্যকর হয়ে যাবে। যে গ্রাহক যত পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করবেন, তাঁর মাসুলও নির্ধারিত হবে সেই অনুপাতে। সিইএসসি-র এক কর্তার দাবি: বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ অনেকটা বেড়ে যাওয়ার কারণেই মাসুলে এই বৃদ্ধি। ২০১০-এর জুলাইয়ে সিইএসসি-র বিদ্যুৎ-মাসুল বেড়ে হয়েছিল ৪ টাকা ৭৩ পয়সা। তার পরে, ২০১১-র মে মাসে কয়লার দাম বাড়ার জেরে ‘ফুয়েল সারচার্জ’ বাবদ সংস্থা প্রতি ইউনিটে বাড়তি ৪৬ পয়সা গ্রাহকদের থেকে আদায় করছিল। তখনই সিইএসসি’র বিদ্যুতের ইউনিটপিছু গড় মাসুল বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৫ টাকা ১৯ পয়সা।
প্রায় ন’মাস পরে ফের দাম বাড়াল সিইএসসি। তারা অবশ্য ইউনিটপিছু গড় মাসুল বাড়িয়ে কমপক্ষে সাড়ে ছ’টাকা করার আবেদন জানিয়েছিল কমিশনের কাছে। অর্থাৎ সংস্থা চেয়েছিল প্রতি ইউনিটে গড়ে ১ টাকা ১১ পয়সা দর বাড়াতে। কিন্তু কমিশন অনুমতি দিয়েছে ৬৯ পয়সা বাড়ানোর। সিইএসসি-সূত্রের খবর: ইউনিটে গড়ে ১ পয়সা মাসুল বাড়লে তাদের বাড়তি আয় হয় প্রায় ৮ কোটি টাকা। সেই হিসেবে ৬৯ পয়সা মাসুলবৃদ্ধির ফলে সংস্থার সাড়ে পাঁচশো কোটি টাকার মতো বাড়তি আয় হবে।
এ দিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার গ্রাহকদের এখন প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য গড়ে দাম দিতে হচ্ছে ৫ টাকা ৫৩ পয়সা। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি গত তিন মাসে কয়েক দফায় বণ্টন এলাকায় সব মিলিয়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বেড়েছে প্রায় ১ টাকা ২৬ পয়সা। তবে এ বার সরকারি বিদ্যুতের তুলনায় সিইএসসি-র বিদ্যুৎই ৩৫ পয়সা বেশি দামি হয়ে গেল। |