বিজয় হাজারে ট্রফি
বিধ্বংসী দিন্দার দাপটে শেষ চারে বাংলা
দু’জনেই আছেন এশিয়া কাপের দলে। এক জন ফর্মে থাকা পেসার, অন্য জন ফর্মে থেকেও দেড় মাসে একটিও ম্যাচ না খেলার সুযোগ পাওয়া মিডল অর্ডার ব্যাট। প্রথম জন অশোক দিন্দা এই মরসুমে দেশের সফলতম জোরে বোলার। ইতিমধ্যেই ৬৭টি উইকেটের মালিক। আজ তাঁর প্রথম স্পেলেই মধ্যপ্রদেশের ঘাড় মটকে দেন তিন উইকেট নিয়ে। শেষমেশ ঝুলিতে পাঁচ উইকেট (৫-৫৪) এবং ম্যাচের সেরা হওয়া। এক দিনের ক্রিকেটে এটাই তাঁর জীবনের সেরা বোলিং গড়। অন্য দিকে মনোজ তিওয়ারি দেড় মাস পরে কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নেমেই দেখালেন তাঁর ব্যাটিংয়ে মরচে পড়েনি। চার নম্বরে নেমে ৪৮ রানের দামি ইনিংস খেলেছেন মনোজ।
শুধু মনোজ-দিন্দা নয়, বাংলার জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকল সদ্য দলীপজয়ী পূর্বাঞ্চল দলের দুই বাঙালি সদস্য ঋদ্ধিমান সাহা (৫২ বলে ৫৩) ও অনুষ্টুপ মজুমদারের (৫৭ বলে ৫৫)। ১৬ রানে জিতে বাংলা বিজয় হাজারে ট্রফির সেমিফাইনালে, সেমিফাইনাল ১০ মার্চ। বাংলার প্রতিদ্বন্দ্বী হবে পঞ্জাব বনাম হায়দরাবাদ ম্যাচের বিজয়ী দল। পঞ্জাব জিতলে সেমিফাইনালে সৌরভ বনাম হরভজন হতে চলেছে। অবশ্য বাংলা সেমিফাইনালে মনোজ-দিন্দাকে পাচ্ছে না। তাঁরা দু’জনেই আজ রাতে শহরে ফিরে আসছেন। সৌরভও ফিরছেন শহরে। ফের যাবেন সেমিফাইনালের আগে। দিন্দার জায়গায় বাংলা পাঠাচ্ছে বীরপ্রতাপ সিংহকে।
টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছিলেন বাংলা অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু সকালের পালামে কুয়াশা থাকার জন্য ম্যাচ দেরিতে শুরু হয়। ওভার সংখ্যা ৫০ ওভারের বদলে কমে দাঁড়ায় ৪৫-এ। বাংলার শুরুটা ভাল হয়নি। দিনের পঞ্চম ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় সৌরভকে (১৭ বলে ৮)। পেসার সুধীন্দ্রের বলে উইকেটের পিছনে ধরা পড়েন তিনি। তিনে নামা লক্ষ্মীও (৫) দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ায় বাংলা ২২-২ হয়ে যায়। এখান থেকে খেলা ধরেন মনোজ। অন্য ওপেনার শ্রীবৎস গোস্বামীও বেশিক্ষণ টেকেননি (২০)। চতুর্থ উইকেটে মনোজ-ঋদ্ধি জুটিতে ওঠে ৭৫ রান। যা ম্যাচের বিচারে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর পরে অনুষ্টুপও রান পেয়ে যাওয়ায় বাংলার স্কোর ভদ্রস্থ ২৩০ রানে পৌঁছে যায়। পালামের উইকেট নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠছে। স্লো উইকেট, একেবারেই ওয়ান ডে ক্রিকেটের আদর্শ নয়। কোনও দিনই ২৩০-২৪০-এর বেশি উঠছে না। হরভজন সিংহও সোমবার ম্যাচ জিতিয়ে উঠে উইকেটের সমালোচনা করেছিলেন।
পালামের উইকেটে ২৩০ তাড়া করতে গেলে শুরুটা ভাল হওয়া দরকার ছিল। কিন্তু প্রথম স্পেলেই বিধ্বংসী ছিলেন দিন্দা। শুরুতেই পরপর উইকেট তুলে মধ্যপ্রদেশকে যে ধাক্কাটা দেন, সেখান থেকে আর ম্যাচে ফেরা কঠিন ছিল। শেষ পর্যন্ত দিন্দার বোলিং হিসেব ৯-০-৫৪-৫। যথেষ্ট ভাল বোলিং করলেন লক্ষ্মীও। তাঁর ঝুলিতে দুটো উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলা ২৩০-৮ (অনুষ্টুপ ৫৫, ঋদ্ধিমান ৫৩, মনোজ ৪৮, সুধীন্দ্র ২-৪৭)।
মধ্যপ্রদেশ ২১৫ (আনন্দ সিংহ ৫৩, দিন্দা ৫-৫৪, লক্ষ্মী ২-৩৭, ইরেশ ১-২৬)।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.