নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হাওড়া শহরে নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজার কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারেনি কেএমডিএ, হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (এইচআইটি)। চলতি মাস শেষ হওয়ার আগে জমা কাজ ‘যে কোনও ভাবে’ শেষ করতে বামফ্রন্ট পরিচালিত পুরসভাকে নির্দেশ দিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ঘটনাচক্রে তিনি নিজে কেএমডিএ-র প্রধান এবং তাঁর দলের বিধায়ক শীতল সর্দার এইচআইটির চেয়ারম্যান।
পুরসভার চেয়ারপার্সন মমতা জয়সোয়াল পরে বলেন, “নিকাশির কাজ যে দু’টি সংস্থা করছে, তারা শেষ করতে পারেনি। এখন মন্ত্রীর নির্দেশে এক মাসেরও কম সময়ে যদি বকেয়া কাজ শেষ হয়, তবে নাগরিকদেরই লাভ।” ‘জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশন’ (জেএনএনইউআরএম) প্রকল্পের অধীনে হাওড়া শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজার কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। কেএমডিএ ও এইচআইটি-র এই কাজ গত বছরই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। শনিবার পুরসভা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের বলেন, “মেয়রকে বলেছি আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে নিকাশির কাজ শেষ করতেই হবে। তা না হলে আগামী বর্ষায় এই শহর আবার ভাসবে।” হাওড়া উন্নয়ন সংস্থায় আয়োজিত এই বৈঠকে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুলতান আহমেদ, এইচআইটি-র চেয়ারম্যান, হাওড়া জেলার তিন তৃণমূল বিধায়ক। ছিলেন পুরসভার চেয়ারপার্সন ও জেলাশাসক সঙ্ঘমিত্রা ঘোষও।
শহরের যে সব ওয়ার্ডে এখনও পানীয় জল সরবরাহ হয় না, সেখানে চলতি বছরের মধ্যে জল সরবরাহ পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার সব রকমের সাহায্য করবে বলে মন্ত্রী বৈঠকে আশ্বাস দেন। পরে বলেন, “হাওড়ার উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্বার্থ বাধা হবে না। কোনও গাফিলতিকেও প্রশ্রয় দেব না।” এ ব্যাপারে পুর চেয়ারপার্সনের বক্তব্য, “পানীয় জলের পাইপলাইন করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে ৫০ কোটি টাকা চেয়েছি। টাকা পেলেই কাজ শুরু হবে।” |