নির্বাচন একনজরে
মায়ার হারের ছায়া শেয়ারে
উত্তরপ্রদেশের ফলের প্রভাব পড়ল শেয়ার বাজারেও। সমাজবাদী পার্টি ফের ক্ষমতায় আসছে, তা স্পষ্ট হতেই মঙ্গলবার শেয়ার বাজারে অনিল অম্বানী গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির সূচক উঠতে শুরু করে। অনিল বরাবরই মুলায়ম-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। উল্টো দিকে নির্মাণ সংস্থা জেপি অ্যাসোসিয়েটের শেয়ার পড়েছে। কারণ মায়াবতীর আমলে এই সংস্থা পরিকাঠামো নির্মাণের বরাত পেয়েছিল। যে সংস্থাগুলি উত্তরপ্রদেশে চিনিকল চালায়, তাদের শেয়ারের দামও এ দিন বেড়েছে। কারণ চিনিকল ওই রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। উত্তরপ্রদেশই আখ উৎপাদনে প্রথম। তাই সব দলই আখচাষিদের সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করে।

হেরেও নজির
মসনদ হারালেও ইতিহাসের পাতায় নাম তুলে ফেললেন বসপা নেত্রী মায়াবতী। তিনিই উত্তরপ্রদেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি এই পদে পাঁচ বছরের নির্দিষ্ট মেয়াদ সম্পূর্ণ করলেন। স্বাধীনতার পর থেকে ৩১ জন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু মায়াবতী ছাড়া কেউই পাঁচ বছর টিকে থাকতে পারেননি! ২০০৭-এর জয়ের আগে মায়াবতীও তিন বার উত্তরপ্রদেশের মসনদে বসেছিলেন। কিন্তু প্রতি বারই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে তাঁকে।

ঘরের মাঠেও হতাশা
ঘরের মাঠ থেকেও কার্যত খালি হাতে ফিরতে হল কংগ্রেসকে। সম্মান বাঁচল না রাহুলের অমেঠিতে, মুখ ফেরাল সনিয়ার রায়বরেলীও। সমাজবাদী পার্টির কাছে তারা অমেঠীর জেতা আসনটি তো খুইয়েছেই, পাশাপাশি অমেঠী ও রায়বরেলী লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র দুটি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। রায়বরেলী লোকসভার অন্তর্গত পাঁচটি বিধানসভা আসনের একটিতেও তাঁরা জয়ের মুখ দেখেননি।

ভট্টা পারসলেও হার
মায়াবতী সরকারের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের যে এলাকায় জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী, সেখানেই হেরে গেলেন কংগ্রেসের প্রার্থী। গত বছর ভট্টা পারসলে রাহুল জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। ভট্টা পারসল যে বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, সেই জেয়র কেন্দ্রে বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী ধীরেন্দ্র সিংহ।

দিগ্বিজয়ের দায়
উত্তরপ্রদেশে দলের খারাপ ফলের দায় নিয়ে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। তিনি উত্তরপ্রদেশে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত। মঙ্গলবার ফল ঘোষণার পরে তিনি প্রকাশ্যে বলেন, “এই খারাপ ফলের দায়িত্ব আমার। রাহুল গাঁধীর নয়।” পরে হাইকম্যান্ডের কাছে তিনি উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। কিন্তু হাইকম্যান্ডের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এখনই এ ব্যাপারে ভাবার সময় আসেনি।

এখন বৈঠক
শ্রমিক সংগঠনগুলির সাধারণ ধর্মঘট সত্ত্বেও এত দিন তাদের সঙ্গে আলোচনায় না যাওয়ার বিষয়ে অনড় ছিল মনমোহন-সরকার। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে ভোটের ফল খারাপ হতে এখন সে বিষয়েও নরম সুর নিচ্ছে সরকার। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় এআইটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক গুরুদাস দাশগুপ্তকে জানিয়েছেন, বাজেটের পরে তিনি শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনায় বসবেন। প্রধানমন্ত্রীকেও বৈঠক ডাকতে বলার জন্য প্রণবের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন গুরুদাস।

মৃত্যু বালকের
নির্বাচনে জয়ের মাত্রাছাড়া উচ্ছ্বাস কেড়ে নিল ১২ বছরের এক বালকের প্রাণ। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশে ভীমনগর জেলার সম্বলে জয়ী হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী ইকবাল মেহমুদ। জয়ের উল্লাসে শূন্যে গুলি ছুড়তে থাকে তাঁর সমর্থকরা। তারই একটি লাগে বালক দানিশের গায়ে। তবে কার ছোড়া গুলিতে সে মারা গেল তা বোঝা যায়নি বলে জানিয়েছেন দানিশের বাবা।

হেরে ভূত অমর
লখনউয়ের মসনদে বসতে চলেছে তাঁর প্রাক্তন ‘নেতাজি’র পার্টি। কিন্তু, উত্তরপ্রদেশের মানুষ ফিরিয়ে দিয়েছেন মুলায়ম সিংহের প্রাক্তন সহযোগী অমর সিংহকে। ৩৬০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল অমরের দল রাষ্ট্রীয় লোক মঞ্চ। একটিও আসন মেলেনি। প্রচারে মুলায়মকে আক্রমণ করেছিলেন অমর। স্পষ্টতই মানুষ তাতে কান দেননি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.