কোবাডের নামে মামলা তুলে নেওয়ার সুপারিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মাওবাদীদের অন্যতম শীর্ষ নেতা কোবাড গাঁধীর বিরুদ্ধে এ রাজ্যে থাকা মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করল বন্দি মুক্তি কমিটি। সম্প্রতি মহাকরণে এক বৈঠকে কমিটির সদস্যেরা এই নিয়ে আলোচনা করেন। রাজনৈতিক বন্দিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দিতে তাঁদের তিন ভাগে ভাগ করার সুপারিশ করেছে বন্দি মুক্তি কমিটি।
২০০৮ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ, ষড়যন্ত্র প্রভৃতি ধারায় মামলা রুজু হয় কোবাডের বিরুদ্ধে। বন্দি মুক্তি কমিটির সদস্য সুজাত ভদ্র জানান, কোবাড গাঁধী এখন তিহাড় জেলে আছেন। রাজ্যে নয়া মন্ত্রিসভা গঠনের পরে বন্দি মুক্তি কমিটি তৈরি হয়। ২০১১-র জুনে কমিটির কাছে ওই মামলা প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছিলেন কোবাড। সেই আর্জি মেনে রাজ্য সরকারের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নন্দীগ্রামের যে-সব মামলা কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন, সেগুলি এবং সেখানকার যে-সব ঘটনা নিয়ে সিবিআই, সিআইডি তদন্ত করছে, সেগুলি ছাড়া সাধারণ, ছোটখাটো মামলা তুলে নেওয়ার সুপারিশও করা হচ্ছে।
কমিটির আগের বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, সত্তরোর্ধ্ব যে-সব রাজবন্দি পাঁচ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কারাবাস করছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হোক। এ দিনের বৈঠকে বন্দি মুক্তির ব্যাপারে আরও দু’টি ভাগ তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে। ষাটোর্ধ্ব যে-সব রাজবন্দি সাত বছর বা তার বেশি সময় ধরে কারাবাস করছেন, একটি ভাগে থাকবেন তাঁরা। অন্য ভাগে পড়বেন স্নাতক বা তার বেশি পড়াশোনা করেছেন, এমন রাজনৈতিক বন্দিরা।
এর আগে সিঙ্গুরের ১৩০টি মামলা তুলে নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। তার অধিকাংশ মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। |