অপহৃত মুখ্য বনপাল, রেঞ্জারকে ছাড়ল জঙ্গিরা |
জঙ্গিদের কবল থেকে মুক্তি পেলেন অসমের অপহৃত মুখ্য বনপাল ও রেঞ্জার। গত শনিবার কার্বি আংলং জেলার সিংহাসন পাহাড়ে এবং জঙ্গলে সমীক্ষার কাজ সেরে ফেরার সময় মুখ্য বনপাল অভিজিৎ রাভা ও রেঞ্জ অফিসার রঞ্জন বরুয়াকে অপহরণ করা হয়। এই ঘটনার তিন দিন পরেও কাউকেই উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ বা সেনাবাহিনী। শেষ পর্যন্ত গত কাল সন্ধ্যায় অপহরণকারী জঙ্গিরা রাভা ও বরুয়াকে বকলিয়াঘাটের কাছাকাছি অরণ্যে ছেড়ে দিয়ে যায়। সকাল পাঁচটা নাগাদ তাঁরা পায়ে হেঁটে বকোলিয়াঘাট রেঞ্জ অফিসে পৌঁছন। সেখান থেকে তাঁদের দু’জনকে জেলা সদর দিফুতে নিয়ে আসা হয়। পরে, দিফু হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করা হয়। কার্বি আংলঙের পুলিশ সুপার বি বি ছেত্রী বলেছেন, “চিকিৎসার পরে অপহরণ কাণ্ড এবং জঙ্গি ঘাঁটির বিষয়ে আলাদা ভাবে দু’জনের কাছ থেকেই তথ্য নেওয়া হবে। কেপিএলটি জঙ্গিরাই তাঁদের দু’জনকে আটকে রেখেছিল। দু’দিনের মধ্যে একাধিকবার জঙ্গিরা দুই অপহৃতকে নিয়ে ঘাঁটি পরিবর্তন করেছে।” মুক্তি পাওয়ার পরে এক সাংবাদিক বৈঠকে রঞ্জনবাবু জানান, অসমের সমস্ত পশুপ্রেমী সংগঠন এবং দুই পরিবারের আবেদনে সাড়া দিয়ে গত কাল বিকেলে জঙ্গিরা তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বরুয়া বলেন, “আমাদের খাবার দেওয়া হয়েছিল। খারাপ ব্যবহারও করা হয়নি। কিন্তু প্রত্যেক দিনই আমাদের পাহাড়-জঙ্গল ভেঙে অনেকখানি হাঁটতে হত। গত কাল সন্ধ্যায় একটি পাহাড়ের পাদদেশে আমাদের ছেড়ে দেয়।” তাঁদের বলা হয়, জঙ্গলের পথ ধরে সোজা হাঁটতে। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পর মুখ্য বনপাল আর হাটতে পারেননি। বরুয়া বলেন, “আমি আরও কয়েক কিলোমিটার হাঁটার পর একটি গ্রামে পৌঁছই। ওই গ্রামের মানুষজনের সাহায্যেই স্যারকে বকোলিয়াঘাট নিয়ে আসা হয়।”
|
কাল থেকে ৩৩৬ ঘন্টার ডিমা হাসাও জেলা বন্ধ ডেকেছে ডিমাসা স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (ডিএসইউ)। টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট) পরীক্ষার মধ্য দিয়ে রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিয়োগের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তার প্রতিবাদেই এই বন্ধের ডাক। বন্ধ আহ্বায়করা জানিয়ে দিয়েছেন, যানবাহন, দোকানপাট, অফিস-স্কুলের সঙ্গে রেল চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হবে। ছাত্র সংগঠনটির বক্তব্য, সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল অনুসারে ডিমা হাসাও এবং কার্বি আংলং জেলায় স্বশাসিত পরিষদ গঠিত হয়েছে। ওই তফসিলেই স্বশাসিত জেলায় শিক্ষক নিযুক্তি এবং বদলির পূর্ণ অধিকার পরিষদকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার এ বার টেট পরীক্ষার মাধ্যমে তা লঙ্ঘন করেছে। রাজ্য পর্যায়ের এই পরীক্ষায় ডিমাসা জনগোষ্ঠীর যত জন পরীক্ষায় বসেছিলেন, তার ১০%-ও পাশ করতে পারেনি। ডিএসইউয়ের অভিযোগ, এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করে ভূমিপুত্রদের সুযোগ সঙ্কুচিত করা হচ্ছে। |
সাম্মানিক ডি লিট প্রণববাবুকে |
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ হিসেবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডি লিট দিল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়। প্রণববাবু অবশ্য ব্যস্ততার দরুন আসতে পারেননি। তাঁর হয়ে শিলচরে এসে সম্মান গ্রহণ করেন প্রণববাবুর দাদা পীযূষ মুখোপাধ্যায়। আজ দ্বাদশ সমাবর্তনে আসাম বিশ্ববিদ্যালয় মোট সাত জনকে সাম্মানিক ডিলিট-ডিএসসি প্রদান করেছে। প্রণববাবু ছাড়া অন্যরা হলেন--কেন্দ্রীয় অর্থ দফতরের মুখ্য উপদেষ্টা কৌশিক বসু, বাংলাদেশের সাহিত্যিক-অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক, বিশ্বভারতীর বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সোমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, অসমিয়া সাহিত্যিক প্রয়াত মামণি রয়সম গোস্বামী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক অরুণ শর্মা ও জেএনইউ-র প্রাক্তন উপাচার্য বারিদবরণ ভট্টাচার্য। প্রয়াত মামণির হয়ে মরণোত্তর সম্মান গ্রহণ করেন তাঁর নিকটাত্মীয় অনিল কুমার গোস্বামী।
|
অপহৃত স্কুলছাত্রের দেহ উদ্ধার, ধৃত ৬ |
ঝাড়খণ্ডে পলামু জেলার রাজিরওয়ার গ্রামে একটি নালার মধ্যে আজ পড়ে থাকতে দেখা যায় এক স্কুলছাত্রের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল রণধীর কুমার চন্দ্রবংশী (১৭) নামে নবম শ্রেণির এই ছাত্রটি। জেলার এসপি এস কে সিংহ জানান, ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে কিশোরের মাথাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ জেলার কয়েকটি কলেজ থেকে ৬ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, রণধীরের বাবা বিনোদ চন্দ্রবংশী তাঁর ছেলে নিরুদ্দেশ হওয়ায় থানায় এফআইআর দায়ের করেন। এফআইআরে তিনি জানান, শুক্রবার তাঁর ছেলে রণধীকে কেউ ফোন করে একটি বিশেষ স্থানে যেতে বলে। এরপর রবিবার বিনোদের কাছে ফোন আসে। ফোনে জানানো হয়, ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিলে বিনোদকে ছেড়ে দেওয়া হবে। ওই ছাত্রদের জেরা করে মৃতদেহের খোঁজ পায় পুলিশ।
|
কাঁথির কিশোরী উদ্ধার ওড়িশায় |
কাঁথির দারুয়া থেকে অপহৃত ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ওড়িশার কেওনঝাড় থেকে উদ্ধার করল কাঁথি থানার পুলিশ। অপহৃত কিশোরীকে পুলিশ উদ্ধার করলেও অপহরণকারীকে ধরতে পারেনি। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দারুয়া থেকে নিখোঁজ হয়েছিল মেয়েটি। কেওনঝাড়ের জনৈক সনু আলি খান তাকে অপহরণ করেছিল বলে পুলিশ জেনেছে। সেই মর্মেই অভিযোগও দায়ের করেছিলেন মেয়েটির বাবা। পুলিশ সনুকে ধরতে না পারলেও তার বাবা সোলেমানকে অপহরণে যুক্ত অভিযোগে ধরে এনেছে। ধৃতকে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। |