সম্প্রতি দ্য মিশন হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের উদ্যোগে একটি আলোচনাচক্র আয়োজিত হল। উপস্থিত শ্রোতাদের অনেকেই ভুগছেন হাঁটুর সমস্যায়। ওই আলোচনাচক্রে প্রধান বক্তা অস্থি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দীপঙ্কর সেন কৃত্তিম হাঁটু হাতে নিয়ে উপস্থিত শ্রোতাদের সামনে ব্যাখ্যা করেন তার কার্যকারিতা। তিনি বলেন, “রোগী এবং চিকিৎসার পরে সুস্থদের এক সঙ্গে সামিল করে এমন আলোচনাসভা বিরল।” হাসপাতালের জিএম (অপারেশন) অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “অন্য হাসপাতালের তুলনায় এখানে হাঁটুর চিকিৎসার খরচও কম।”
|
রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের পুরুষ বিভাগে জল সরবরাহ ব্যবস্থায় ত্রুটি দেখা দিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, পাঁচ দিন পার হলেও তা এখনও না সারানোয় সমস্যায় পড়েছেন ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স থেকে শুরু করে রোগী, রোগীর আত্মীয়স্বজন। জল সরবরাহ ব্যবস্থা খারাপ থাকার জন্য হাসপাতালে নার্সরা ডিউটি চলাকালীন বেসিনে হাত ধুতে পারছেন না। এমন কী রোগীরা শৌচাগারেও জল পাচ্ছেন না। হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পূর্ত বিভাগ ও জনস্বাস্থ্য কারিগরী বিভাগকে বলা হয়েছে।” যদিও তাঁর দাবি, “ওই দুই বিভাগ একে অপরের দিকে দায়ভার চাপিয়ে দিচ্ছে। মাঝখান থেকে কোনও কাজ হচ্ছে না। এরফলে কর্মীরা যেমন পরিষেবা পাচ্ছেন না, তেমনি কর্তব্যরত নার্সরাও কাজে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।”
|
ডুয়ার্সের কুমারগ্রাম ব্লকের বারবিশা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বসিন্দাদের মধ্যে। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, হাসপাতালের পরিষেবা বলতে হাতেগোনা সকাল ১০টা থেকে ২টা, চারঘন্টা। মাঝেমধ্যে চিকিৎসক থাকছে না। বাধ্য হয়ে বর্হিবিভাগের লাইনে দাঁড়িয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে রোগীদের। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির ২৪ ঘণ্টা পরিষেবার দাবি নিয়ে সোমবার বাসিন্দারা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে বিক্ষোভ দেখান। কুমারগ্রাম ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও আন্দোলনে নামা হয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুকুমার রঞ্জন সরকার বলেন, “বহু মানুষ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল। অথচ স্বাস্থ্য পরিষেবা মেলে মাত্র ৪ ঘণ্টা। সবাইকে ১২ কিমি দূরে কামাখ্যাগুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে। দ্রত এই হাসপাতালে শয্যা এবং প্রসূতি বিভাগ চালু করবার দাবি জানিয়েছি।” কুমারগ্রাম ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভীক রায় বলেন, “প্রয়োজনে সমস্যা না মিটলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব।” |