তারকেশ্বরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের বিকল্প ভবনের দাবিতে সোমবার স্থানীয় পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। পুরভবনে ঢোকার সময় পুরপ্রধান স্বপন সামন্তকে ঘিরেও বিক্ষোভ হয়। শেষ পর্যন্ত স্বপনবাবু বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলে ঘণ্টাখানেক বাদে বিক্ষোভ থামে। পুরসভা ও বিদ্যালয় সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ২০১০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়টি তারকেশ্বরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে পুরসভার অতিথি নিবাসের দোতলায় চালু হয়। পুরসভাই অস্থায়ী ভাবে সেখানে স্কুল চালানোর বন্দোবস্ত করে দেয়। বিক্ষোভকারীরা জানান, সকাল থেকেই তারকেশ্বর মন্দিরের পুণ্যার্থীদের আসা-যাওয়া লেগেই থাকে অতিথি নিবাসে। ফলে, পড়াশোনার পরিবেশ থাকে না। পুরপ্রধান বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের হাতে আর কোনও জায়গা নেই। তবে বিকল্প জায়গা খোঁজা হচ্ছে।” জেলাশাসক শ্রীপ্রিয়া রঙ্গরাজনও জানিয়েছেন, ওই স্কুলের ভবনের জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে।
|
পাইপ ফেটে যাওয়ায় ধনেখালির একটি হিমঘর থেকে সোমবার বিকেলে গ্যাস বেরনোয় আতঙ্ক ছড়ায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং দমকলের দু’টি ইঞ্জিন গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, ভাণ্ডারহাটির ওই হিমঘর থেকে গ্যাস বেরোতেই স্থানীয় মানুষজনের চোখ জ্বালা করতে থাকে। দমকলকর্মীরা এসে হিমঘরে গ্যাস চেম্বারের মূল ভাল্বটি বন্ধ করে দেন। বন্ধ হয় গ্যাস বেরনো। তারপর দেখা যায়, গ্যাস চেম্বারের পাইপ ফেটে যাওয়ায় ওই বিপত্তি। হিমঘরের কর্মীরা এ দিনই পাইপটি মেরামতের কাজ শুরু করেন। ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, “দমকল সময় মতো এসে যাওয়ায় গ্যাস লিক থেকে বড় কোনও সমস্যা হয়নি। কেউ অসুস্থ হওয়ারও খবর নেই।”
|
রবিবার বিকেলে আরামবাগের বলরামপুরে ট্রাকের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সমীর মালিক (২০)। বাড়ি স্থানীয় বাগরা গ্রামে। তিনি রাস্তার ধারে একটি গাড়ি ধোওয়ার কাজ করছিলেন। সে সময়ে তারকেশ্বর থেকে আরামবাগগামী একটি ট্রাক তাঁকে ধাক্কা মারে। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান। অন্য দিকে, খানাকুলের বন্দিপুর খাল থেকে রবিবার দুপুরে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর।
|
একশো দিনের কাজ প্রকল্পে কর্মরত এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে আরামবাগের তিরোলের হিয়াদপুর গ্রামে। একটি পুকুর সংস্কার চলছিল। পুলিশ জানায়, ভারতী রায় (৬০) নামে ওই মহিলা সম্ভবত হৃদরোগে আক্রান্ত হন। আরামবাগের বিডিও মৃণালকান্তি গুঁই বলেন, “এই প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী কর্মরত অবস্থায় শ্রমিকের মৃত্যু ঘটলে তাঁর পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা। ভারতীদেবীর পরিবার তা যাতে পান, সে জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” |