হায় পুরী’ (৯-১) শীর্ষক শম্পা মান্নার পত্রে পুরীর যথার্থ চিত্রই ফুটে উঠেছে। পুরীর এই দুরবস্থার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, পুরী কোনারক ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, সমুদ্রপারের হোটেল ব্যবসায়ী তথা মালিকগণ সবাই দায়ী। ১৯৬৩ সাল থেকে ওড়িশা তথা পুরীর সঙ্গে আমার যোগাযোগ। ১৯৬৪ সাল থেকে কর্মসূত্রে ওই রাজ্যেই ছিলাম ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। দীর্ঘ ৩২/৩৩ বছরে কম করেও ৩০/৪০ বার পুরী গিয়েছি। ২০০৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৬ সালের মার্চ পর্যন্ত টানা এক বছর ওই শহরেই ছিলাম একটি বিশেষ কাজ নিয়ে। গত প্রায় ১৫/২০ বছর হল বিচ-এ এই ধরনের দোকানপাট, চায়ের দোকান ইত্যাদি গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া হোটেলের নোংরা জল এক বিষাক্ত পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। কাছেই মহাশ্মশানের অবস্থিতি পরিস্থিতিকে আরও বিষাক্ত করে তুলেছে। শব দাহের গন্ধে ওই পথে চলা দায়। |
আশ্চর্য, সি বিচের সব হোটেলের পয়ঃপ্রণালীর জল বিচের উপর সোক পিট-এ খালাস হচ্ছে। হোটেল মালিকদেরও কর্তব্য থাকে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখার। তাঁরা নিজেদের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। স্থানীয় লোকদের এ বিষয়ে কোনও চেতনা নেই। কারণ, ওঁরা সি বিচে খুব কমই আসেন।
হিরণ্ময় বর্ধন। কলকাতা-৬৪
|
‘শহরের রাস্তা তো কুকুরের শৌচাগার’ (১৪/২) লেখাটি পড়লাম। রাস্তার কুকুরেরা রাস্তায় জন্মায়, থাকে, তা হলে এরা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবে কোন জায়গায়? কলকাতার রাস্তায় বের হলেই দেওয়ালে, পার্কের রেলিংয়ে, পাঁচিলে, গাছের গোড়ায় সর্বত্র মানুষের জলবিয়োগের প্রতিযোগিতা দেখলে অবাক লাগে না? ‘শহরের গলি ও রাস্তা’, ‘নর্দমা’ কি শুধু কুকুরেরাই নোংরা বানায়? এই মহানগরীর নাগরিকরা তো যা খুশি, যেখানে খুশি, যখন খুশি ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে। আদর্শ নাগরিক হতে গেলে যে-নিয়মগুলো মানতে হয়, সেগুলো কি তারা মানে?
পুরনো কলকাতার রাস্তা গঙ্গাজলে ধুলে পরিষ্কার হত কিন্তু এখনকার রাস্তা মন্দাকিনীর জলে ধুয়েও কেউ পরিষ্কার করতে পারবে না। তার একমাত্র কারণ কুকুর নয়, অতি বিপুল জনসংখ্যা।
মালবিকা রায়। কলকাতা-২৯ |