টুকরো খবর
যাদবপুরেও উপাচার্য বাছতে নতুন কমিটি
কলকাতার পরে এ বার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য বাছাই করতে তিন সদস্যের সার্চ বা সন্ধান কমিটি গড়া হল। সেই কমিটিতে আছেন ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সেসের প্রাক্তন অধিকর্তা গোবর্ধন মেটা এবং মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আনন্দ কৃষ্ণন। সোমবার কোর্টের বৈঠকের পরে এ কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ। সার্চ কমিটির তিন সদস্যের মধ্যে শ্রীকুমারবাবুর নাম সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট। গোবর্ধন মেটার নাম সুপারিশ করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। আনন্দ কৃষ্ণন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র মনোনীত সদস্য। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য প্রদীপনারায়ণ ঘোষের কার্যকাল শেষ হচ্ছে ১৪ এপ্রিল। তাঁর মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। পরে তাঁর কার্যকাল ছ’মাস বাড়ানো হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী উপাচার্য বাছাইয়ের জন্যও সম্প্রতি সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ এপ্রিল।

গণেশ পাইনকে সম্মান
অনুষ্ঠান মঞ্চে শিল্পী গণেশ পাইন। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
চিনা প্রবাদ বলে, একটি ছবি দশ হাজার শব্দের সমান। সোমবার বিকেলে রাজারহাটের একটি বেসরকারি হোটেলে কথাটা আর এক বার প্রমাণিত হল। উপলক্ষ ছিল নীরবতার শিল্পী গণেশ পাইনকে ‘আইসিসি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১২’ অর্পণ। আইসিসি ক্যালকাটা ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুই হল ছবি দিয়ে, পর্দায় তথ্যচিত্রে ফুটে উঠল গণেশ পাইনের আঁকা একের পরে এক ছবি। তার পরে শিল্পীকে নিয়ে বললেন নরেশ কুমার, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, রঘু মোদী, রাজীব মুন্দ্রা, সঞ্জীব গোয়েন্কা প্রমুখ। সম্মানপত্রটি পাঠ করে শোনালেন সিমা গ্যালারির প্রধান রাখী সরকার। আর যাঁকে ঘিরে এত আয়োজন, সেই ৭৫-এ পৌঁছনো শিল্পী বসে রইলেন স্মিতমুখে। তার পর প্রাপকের ভাষণে বললেন কয়েকটি মাত্র শব্দ: ‘পুরস্কারের জন্য ধন্যবাদ। আমার এত প্রশংসা করা হল এখানে যে আমি আর কী বলব!’ ঠিকই! যা বলার, ছবিতেই তো তিনি বলেন, বলে আসছেন গত অর্ধ শতকেরও বেশি সময় ধরে। সেই গভীর নীরবতাকেই যেন আরও এক বার কুর্নিশ করল সোমবারের সন্ধেটা।

বাড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য
ছবি: সুমন বল্লভ
স্কুল লাগোয়া এই পুরনো বাড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে সোমবার চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ণ দাস রোডে। অভিযোগ, ওই কাজের জন্য স্কুলে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলে যান তৃণমূলের নেতা ও বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। যে সংস্থা ওই বাড়ির মালিক, তারা জানিয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরা বাধা দেওয়ায় ভাঙার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্কুলের তরফে আইনজীবী প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “সিভিল আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে ভাঙার কাজ চলছে।” ওই মালিক-সংস্থার তরফে শশাঙ্ক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “স্কুল-কর্তৃপক্ষকে একাধিক বার দক্ষিণ কলকাতার অন্যত্র পুনর্বাসনের প্রস্তাব দিয়েছি। আলিপুর আদালতের নির্দেশে ওই চত্বরে ১৪৪ ধারা জারির পরেই ভাঙার কাজ চলছে। কোনও অবস্থাতেই যাতে ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধা না-হয়, কর্মীদের সে কথাও বলেছি।” ওই স্কুলের শিক্ষিকা মেরি ঘোষ জানিয়েছেন, সোমবার সকালে স্কুলে পৌঁছেই তিনি দেখেন, একতলার ক্লাসঘরের পাশে ওই বাড়ির একটি ঘরের কোল্যাপসিব্ল গেট ভাঙা হয়েছে। ওই ঘরের ছাদও ভাঙা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

পার্ক ঘিরে ঝামেলা
কসবা থানা এলাকার পিকনিক গার্ডেনের একটি পার্ককে কেন্দ্র করে সোমবার পুলিশের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় নাটোর পার্ক বলে একটি খেলার মাঠ রয়েছে। বছর তিনেক আগে ওই জমিটি কেআইটি এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দেয়। এ দিন কেআইটি-র আধিকারিক এবং পুলিশ সেই জমিটি মাপজোক করতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে বাধা দেন সরকারি কর্মীদের। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, ওই জমিটি আগে একটি মজে যাওয়া ডোবা ছিল। তাঁরাই মাটি ফেলে সেটিকে মাঠ বানিয়েছেন। এলাকার ছেলেমেয়েরা সেখানে খেলাধুলো করে। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের কথা না শুনে লাঠি চালিয়েছে। পুলিশ অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পথ অবরোধ
ট্রাফিক পুলিশ এক অটোচালকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে, এই অভিযোগে ইএম বাইপাসের জয়নগর মোড়ে পথ অবরোধ করলেন স্থানীয় কয়েকটি রুটের অটোচালকেরা। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় আধ ঘণ্টা অবরোধ চলে। সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। এর জেরে বাইপাসে কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.