টুকরো খবর |
বেআইনি মদ কারাখানা, গ্রেফতার দুই
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
বেআইনি মদ তৈরির অভিযোগে পুরাতন মালদহ এলাকা থেকে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে মালদহ থানার পুলিশ ঘোষপাড়া এলাকায় হানা দিয়ে একটি ডেরা থেকে প্রায় ৫০০ লিটার বেআইনি স্পিরিট বাজেয়াপ্ত করে। পাওয়া গিয়েছে, বিভিন্ন নামি কোম্পানির প্রায় দু’ হাজার মদের বোতলের লেবেল, ছিপি। মালদহ থানার আইসি বিনোদবিহারী ভট্টাচার্য বলেন, “ওই কারখানায় বেআইনি ভাবে মদ তৈরি হচ্ছিল। বিভিন্ন নামি কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে তা বিক্রি করা হত। দুলাল সরকার এবং কাজল পাল নামে দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত দুজনেরই এলাকায় তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত। আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে দুলাল এবং কাজলও অকপটেই বলে, “আমরা তৃণমূল সমর্থক।” সম্প্রতি গৌড় কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরাতন মালদহ টাউন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সমর ঘোষের নেতৃত্বে যে মিছিল হয়েছিল সেখানেও কাজল এবং দুলালকে দেকা গিয়েছিল। সমরবাবু বলেন, “ওরা দলের সমর্থক হতে পারে। দলীয় কর্মী নন।” এই ঘটনায় বিব্রত তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। মালদহ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দুলাল সরকার বলেন, “সমাজবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত অনেকে দলবদল করে এখন তৃণমূলে ভিড়েছে। রাজ্য কমিটিকে না জানিয়েই স্থানীয় স্তরে যে নেতারা এই সমাজবিরোধীদের দলে নিচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশের মদতেই অবৈধ মদের কারবারের রমরমা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান তথা সিপিএম নেতা বিশ্বনাথ শুকুল। তিনি বলেন, “পুলিশের একাংশের মদতেই পুরাতন মালদহের বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি মদের কারবার রমরমিয়ে চলছে। আমরা বহুবার ওই সমস্ত বেআইনি কারখানা ভেঙে দিতে বলেছি পুলিশ, প্রশাসনকে। কিন্তু এখনও সে সব বন্ধ হয়নি।” |
গুলি, খুন যুব কংগ্রেস নেতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
এলাকায় মাদকের রমরমা কারবারের রুখতে বেশ কিছু দিন ধরেই সরব ছিলেন তিনি। সেই ‘অপরাধেই’ বালুরঘাটের যুব কংগ্রেস নেতা পুলক তরফদারকে কুপিয়ে, গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ বালুরঘাটের আর্য সমিতি এলাকায় কংগ্রেস অফিসের কাছেই তাঁর উপরে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হয়। কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথে, কৃষ্ণনগরের কাছে মারা যান পুলক। বালুরঘাট টাউন যুব কংগ্রেসের সহ সম্পাদক ওই যুব নেতা খুনের পিছনে তৃণমূলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদেরই হাত রয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে ৮ জনের নামে লিখিত অভিযোগও করেছে স্থানীয় যুব কংগ্রেস। দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “খুনের ঘটনায় নির্দিষ্ট কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।” দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্র অবশ্য বলেন, “দু’দল দুষ্কৃতীর মধ্যে গোলমাল হয়েছে। সম্ভবত এলাকা দখলের লড়াই। তার জেরেই খুন।” |
সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইসলামপুর |
ইসলামপুর ডিপো তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সেষ পর্যন্ত সরে এল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এনবিএসটিসি) কর্তৃপক্ষ। শনিবার সংস্থার তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। এ দিন ডিপো রক্ষা কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। সেখানেই মন্ত্রীর কাছে ওই খবর আসে। মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে সমস্ত কিছু জানিয়েছিলাম। উনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। ডিপো তুলে দেওয়া হলে প্রয়োজনে পদত্যাগ করে আন্দোলন শুরু করতাম।” এ বিষয়ে এনবিএসটিসি’র চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “পরিষেবা এবং প্রশাসনিক কাজের প্রয়োজনে কিছু রদবদল করা হচ্ছে।” সম্প্রতি এনবিএসটিসি’র ইসলামপুর ডিপো তুলে দেওয়ার ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। ডিপোর ২৬ জন অস্থায়ী কর্মীকে ছাঁটাই করার পর ৭৪ জন স্থায়ী কর্মীকে শিলিগুড়িতে ডিপোতে কাজে যোগ দিতেও বলা হয়েছিল। এ দিন নতুন নির্দেশে ২৬ জন কর্মীকে ফের শিলিগুড়ি ডিপো থেকে ইসলামপুরে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন রুটে চলা ইসলামপুর ডিপোর ৭টি বাসের মধ্যে ৫টি শিলিগুড়ি থেকে ইসলামপুরে ফেরত পাঠানো হয়েছে। |
জমি দখলের চেষ্টা, গ্রেফতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
নকল কাগজপত্র তৈরি করে স্বামীর জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগে এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম বিশাখা জোশী এবং বিদ্যুৎ দেবনাথ। তারা সম্পর্কে ভাইবোন। বাড়ি বড় মোহনসিংজোতে। শনিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিশাখা জোশীর জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক সুপ্রিয়া খা। অন্য জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০১-এ প্রতিবেশী কৃষ্ণাপ্রসাদ জোশীর সঙ্গে বিশাখার বিয়ে হয়। তাঁদের এক সন্তান আছে। ২০১০’য় স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা করে বিশাখা। তারপর থেকে তাঁরা আলাদা থাকেন। কৃষ্ণাপ্রসাদবাবু দীর্ঘদিন ধরে কর্মসূত্রে বাইরে রয়েছেন। শিবমন্দিরে তাঁর নামে ১৯ কাটা জমি রয়েছে। কৃষ্ণাপ্রসাদবাবুর মা গীতারাণীদেবীর আইনজীবী অখিল বিশ্বাস জানান, অন্য এক যুবককে নিজের স্বামী কৃষ্ণাপ্রসাদ বলে দাবি করে জমি নিজের নামে করে নেন বিশাখাদেবী। |
বন্ধুকে খুন, নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বীরপাড়া |
ব্যবসায়িক গোলমালের জেরে বন্ধুকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে বীরপাড়া থানার জয়-বীরপাড়া চা বাগানের পাশে নাংডালা নদীর কাছে মদন ওঁরাও’র (২৮) দেহ মেলে। এরপর আত্মসমর্পণ করেন মদনের বন্ধু নিমা তামাং। বাগান এলাকায় বাড়ি মদনের। বালি পাথরের ব্যবসা তাঁর। নিহতের বাড়ির লোকের অভিযোগ, শুক্রবার নদীর ধারে দু’জনের মধ্যে ব্যবসা নিয়ে বচসা হয়। নিমা মদনের গলায় ঘুষি মারলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। |
ভস্মীভূত ৬২টি বাড়ি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
আগুনে পুড়ে ৬২ টি বাড়ি ছাই হয়ে গিয়েছে। শনিবার দুপুরে কালিয়াচকের বাঙিটোলার পাঁচকড়িটোলার ঘটনা। দমকলের দুটি ইঞ্জিন প্রায় তিন ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে সেখানে যান মোথাবাড়ির বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। |
কোচবিহারে খুন তৃণমূল নেতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হলেন এক তৃণমূল নেতা। শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের কোতোয়ালি থানার খাগড়াবাড়ি এলাকায়। নিহত শরৎচন্দ্র রায়ের (৫৮) বাড়ি খাগড়াবাড়ির বালাপাড়ায়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি তৃণমূলের খাগড়াবাড়ি অঞ্চল সভাপতি নির্বাচিত হন। তা নিয়ে নির্বাচনের দিনই অবশ্য তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এমনকী পুলিশকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার দলীয় কার্যালয় থেকে হেঁটেই ফিরছিলেন শরৎচন্দ্রবাবু। তখন একাধিক আততায়ী তাঁকে গুলি চালিয়ে পালায় বলে তৃণমূলের কিছু কর্মীর অভিযোগ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই তৃণমূল নেতাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “কী কারণে এই খুন, পুলিশকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। দলীয়স্তরেও খোঁজ নেওয়া হবে। এখনই কাউকে দোষারোপ করতে চাই না।” গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “এ রকম হওয়ার কথা নয়।” কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধীর বক্তব্য, “এসপিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” |
আর্জি শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী |
|
তথ্য: অনির্বাণ রায় এবং ছবি: সন্দীপ পাল। |
বাড়ির কাছে বদলির জন্য ৯ বছর ধরে চেষ্টা করছেন কালিম্পঙের সুচিত্রা ছেত্রী। শনিবার সকাল থেকে ডেলো বাংলোর সামনে আবেদনপত্র নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি বেরোতেই সুচিত্রা তাঁর আবেদনপত্রটি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে এগিয়ে দেন। সাড়া মেলেনি। নাছোড়বান্দা সুচিত্রা এ বার গাড়ির পিছনে ছুটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। থমকে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। গাড়ি থেকে নিজেই নেমে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃদু ধমকের সুরে বলেন, “এ ভাবে কেউ ছোটে নাকি!” সুচিত্রা তাঁর সমস্যার কথা বলার চেষ্টা করেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর হাত থেকে আবেদনপত্রটি নিয়ে গাড়িতে উঠে যান। |
জখম ২ |
দু’টি মোটরবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হয়েছেন দু’জন। ঘটনাটি শনিবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুরে তুলসিহাটা-ভালুকা রাজ্য সড়কের। দু’জনই হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি। |
ছিনতাইয়ের নালিশ |
ব্যবসায়ীর বাইকের ‘ডিকি’ ভেঙে ১০ লক্ষ টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ডের একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের সামনের ঘটনা। |
|