কাটোয়ার যে ঘটনাকে মুখ্যমন্ত্রী ‘সাজানো’ আখ্যা দিয়েছিলেন, সেই মামলাতেই ধর্ষণের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। খবরটা শোনার পরে অভিযোগকারিণীর প্রতিক্রিয়া, “যে যা-ই বলুন, আমি আর আমার মেয়ে সত্যি বলেছি।”
শুক্রবার রাতে বীরভূমের লাভপুরে চৌহাট্টা গ্রাম থেকে ফরিদ শেখ ও নয়ন শেখ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ট্রেনে উঠে লুঠপাট এবং অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই ঘটনার পরপরই ডাকাতির অভিযোগে অন্য দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল রেলপুলিশ। ধর্ষণের মামলায় তাদের এখনও যুক্ত করা হয়নি।
|
ফরিদ শেখ |
|
নয়ন শেখ |
কাটোয়া-আমোদপুর ন্যারোগেজ লাইনের ট্রেনে ওই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট রাজনীতি হয়েছে। ঘটনার দু’দিন পরে, গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, “সব সিপিএমের চক্রান্ত করে সাজানো।” পরের দিন রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে পাশে দাঁড় করিয়ে তিনি জানান, অভিযোগকারিণীর ডাক্তারি পরীক্ষায় কিছুই পাওয়া যায়নি। এমনকী তিনি দাবি করেন, “সে (অভিযোগকারিণী) বলেছে, তার স্বামী সিপিএমের স্থানীয় সমর্থক।”
মহিলার স্বামী অবশ্য ১১ বছর আগে মারা গিয়েছেন। তাঁর পরিবারের লোকজন যে কংগ্রেস ও তৃণমূলের সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত, তা-ও সে দিনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। এ বার ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ যে দু’জনকে ধরেছে, ঘটনাচক্রে তারা বর্তমানে তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। শনিবার কাটোয়া আদালতে এসিজেএম উদয় রানার এজলাসে তোলা হলে তাদের ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। সিপিএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদক অমল হালদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো পার্ক স্ট্রিট থেকে কাটোয়া, সব ঘটনাকেই ‘সাজানো’ বলে আসছেন। এই গ্রেফতারের পর তিনি কী বলবেন? ওঁর এই সব কথাবার্তায় সমাজবিরোধীরা উৎসাহিত হচ্ছে।”
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নয়ন ও ফরিদ ন্যারোগেজ লাইনের ট্রেনে চেপেছিল বীরভূমের আমোদপুর থেকেই। পরে কীর্ণাহার থেকে আরও কয়েক জন ট্রেনে ওঠে। পুলিশের ধারণা, দলে অন্তত সাত-আট জন ছিল। বর্ধমানের এক পুলিশকর্তা জানান, দুষ্কৃতীরা কীর্ণাহার থেকে ট্রেনে উঠেছিল বলে অভিযোগকারিণী জানানোয় ওই এলাকার কিছু ‘সোর্স’ মারফত কয়েকটি মোবাইল নম্বর জোগাড় করা হয়। ওই সব মোবাইলের সূত্র ধরেই দু’জনকে ধরা হয়েছে। কেতুগ্রামে পাচুন্দি ও অম্বল গ্রামের মাঝে কামরায় লুঠপাট চালানোর পরে ১১ বছরের মেয়ের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তার মা-কে ট্রেন থেকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ।
শুক্রবার অভিযোগকারিণী ও তাঁর মেয়ে কাটোয়া এসিজেএম-এর কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছিলেন। শনিবার বিকেলে জেলা পুলিশের একটি দল কথায় উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস যদি ৫০টি আসনও পায়, সেটা রাহুলেরই
কৃতিত্ব। আর ফল খারাপ হবে না দাবি করা দিগ্বিজয়ের মন্তব্য, “নেতা
একটা উন্মাদনা তৈরি করতে পারেন। সেটাকে ভোটে পরিণত করাটা দলীয় কর্মীদের দায়িত্ব।”
শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, উত্তরাখণ্ড এবং পঞ্জাবও কংগ্রেসকে চিন্তায় রাখছে। স্টার নিউজ এই দুই রাজ্যের বুথ-ফেরত সমীক্ষার ফল আজ প্রকাশ করেনি। সিএনএন-আইবিএনের মতে, পঞ্জাবে এগিয়ে থাকছে অকালি দল-বিজেপি জোটই। উত্তরাখণ্ডে তারা কংগ্রেসকে এগিয়ে রাখলেও ব্যবধান মোটেই নিশ্চিন্তে থাকার মতো নয়।
অন্য দিকে, বিজেপি-র জন্য আজকের সমীক্ষা আশার আলো দেখাচ্ছে। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, উত্তরপ্রদেশে যদি বিজেপি ৭০-এর বেশি আসন পায় এবং পঞ্জাব বা উত্তরাখণ্ডের মধ্যে একটি রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে, তা হলে তা দলীয় সভাপতি নিতিন গডকড়ীর বড় সাফল্য হিসেবে পরিগণিত হবে। বড় রকমের ধাক্কা খাবেন নরেন্দ্র মোদী। শত তোয়াজ সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশে এক বারের জন্য প্রচারের যাননি মোদী। ফলে সমীক্ষার পূর্বাভাস ফলে গেলে এটাই প্রমাণিত হবে যে, সর্বভারতীয় রাজনীতিতে মোদীকে ছাড়াই এগোতে পারবে বিজেপি। গডকড়ীর হাত তখন আরও শক্ত হবে।
আজ ভোটপর্বের শেষে বুথ-ফেরত সমীক্ষা অন্তত এই জল্পনাগুলোকে আরও বেশি করে উস্কে দিয়ে গেল। বাকিটা তোলা রইল মঙ্গলবার ফল বেরনো পর্যন্ত। |