ধর্ষণে অভিযুক্ত বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের হাউসস্টাফকে শনাক্ত করতে বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হবে ওই মূক ও বধির তরুণীকে। জেলা পুলিশের এক কর্তা শুক্রবার বলেন, “ওই হাউসস্টাফকে শনাক্তকরণের জন্য তরুণীটি ও তাঁর মা-কে জেলে টি-আই প্যারেডে নিয়ে যাওয়া হবে। শনাক্তকরণ সম্ভবত হবে ৬ মার্চ, মঙ্গলবার। সেই সময় সেখানে এক জন মূক ও বধির বিশেষজ্ঞের সাহায্যও নেওয়া হবে।” শারীরিক পরীক্ষা করার নামে ওই তরুণীকে সোমবার রাতে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ‘ফিমেল মেডিসিন’ ওয়ার্ডের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রামকৃষ্ণ সরকার নামে ওই হাউসস্টাফের বিরুদ্ধে। ওই হাউসস্টাফ আপাতত জেল-হাজতে রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে রামকৃষ্ণের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে। এ দিন বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে রামকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা- মা। তবে তাঁরা এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় রামকৃষ্ণ তাদের কাছে দাবি করেছেন, সোমবার রাতে তিনি ওই মূক ও বধির তরুণীকে পরীক্ষা করেছিলেন হাসপাতালেরই এক তরুণী হাউসস্টাফের উপস্থিতিতে। পরে ওই তরুণী হাউসস্টাফের সঙ্গেই রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি হাসপাতাল ‘ছাড়েন’। ঘটনা হল, সোমবার রাত ১১টা নাগাদ রামকৃষ্ণ সরকার ওই মূক ও বধির তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাই রামকৃষ্ণ ওই সময় হাসপাতালে ‘ফিরে এসেছিলেন’ কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের গড়া চার সদস্যের কমিটি বৃহস্পতিবারই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তবে কমিটির সদস্যেরা রিপোর্ট প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে চাননি। এ দিন বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ মনোজ চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। তাই কোনও মন্তব্য করব না।” |