|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
নান্দীতেই পরম ভেগোলজি |
বইপোকা |
‘বাঙালির যৌনতার বৃংহিত প্রবৃত্তির ঘনকৃষ্ণ বুদ্বুদে নিবৃত্তির যে নানারকম মার্জনা লেগে তারও পরিচয়বাহী আত্মনিশ্চিতির সঞ্চারিত সুরও ধরা হয়েছে এই প্রয়াসে।’ পাঠক, কিছু বুঝিলেন? ‘নান্দী’তেই এমন পরম ধোঁয়াশা সোমব্রত সরকারের যৌনতার রূপ ও রূপান্তর-এ (কারিগর, ৩৫০.০০)। ইদানিং-খ্যাত পরিমল রায়কে মনে রাখিয়া বলিতে পারি, কিছুই যে বুঝি নাই, অনুভব করি নাই সেই অন্তঃসারশূন্যতাকে ঢাকিবার উপযুক্ত মাধ্যম এই ‘ভেগোলজিক্যাল’ ভাষা। কিন্তু না, গ্রন্থকার যৌনতার রূপ এবং রূপান্তরের বিষয়টি কিছুই বুঝেন নাই, এমন কথা আমরা, বিশেষ অজ্ঞ জনেরা বলিতে পারি না। কেবল এইটুকু বলিতে পারি, এই প্রকার ভাষা কল্পিত আখ্যানের হইতে পারে (তবে তাহার জন্যও কমলকুমার মজুমদারের ন্যায় কব্জির জোর থাকা চাই), কোনও বিশ্লেষণী সন্দর্ভের হইতে পারে না। তবে, ইহা বিশেষ বিস্ময়ের কথা যে, নান্দীর পরে মূল গ্রন্থে ঢুকিলে লেখকের ভাষা বুঝিবার আশায় জলাঞ্জলি দিতে হয় না। এমনকী, বাঙালির বহুলপ্রচল চার অক্ষরটি সম্পর্কেও কত স্পষ্ট আলোচনা করেন সোমব্রত! তবে পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় ভূরি ভূরি ভুল ‘গ্রন্থনির্মাণ এক শিল্প’ এই বিশ্বাসে আঘাত হানে। দৃষ্টান্ত দিই:
১। ‘প্রিয়া যব আওব এ মুঝ গেহে।
মঙ্গল যতহুঁ করব নিজ গেহে॥’
ঠিক পাঠ হইবে,
‘পিয়া যব আওব এ মঝু গেহে।
মঙ্গল যতহুঁ করব নিজ দেহে॥’
২। ‘ছঁওনা ছঁওনা বঁধু...নয়নের কাজের...’
ঠিক পাঠ,
‘ছুঁওনা ছুঁওনা বঁধু...নয়নের কাজর...’
৩। ‘ঐতিরিয় ব্রাহ্মণ’ নহে, ‘ঐতরেয় ব্রাহ্মণ’; ‘যদুর্বেদ’ নহে, ‘যজুর্বেদ’। |
|
|
|
|
|