|
|
|
|
মাটি কাটা নিয়ে দুই পঞ্চায়েতে জটিলতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
একশো দিনের কাজে মাটি কাটা নিয়ে তৃণমূল ও সিপিএম পরিচালিত পাশাপাশি দুই পঞ্চায়েতের মধ্যে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ঘটনার জেরে শুক্রবার শান্তিপুর ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকেরা। পরে মহকুমাশাসকের উপস্থিতিতে দুই পঞ্চায়েতে প্রধান ও শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে নিয়ে বৈঠক হয়। এরপরে অবশ্য শ্রমিকেরা কাজেও যোগ দেন। রানাঘাটের মহকুমাশাসক সুমন ঘোষ বলেন, “মাটি কাটা নিয়ে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল, পরে সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।” পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানানো হয়েছে, একশো দিনের প্রকল্পে ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করে ফুলিয়া বীজ খামারের চারিদিকে ৩ ফুট চওড়া ও ৫ ফুট গভীর একটি খাল খোঁড়া হচ্ছে। খামারটি তৃণমূল পরিচালিত ফুলিয়া টাউনশিপের মধ্যে হলেও পাশের সিপিএম পরিচালিত নবলা পঞ্চায়েতকেও এই প্রকল্পে নেওয়া হয়েছে। শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের অনুপ ঘোষ, বলেন, “এত টাকার কাজ করা কোনও একটা পঞ্চায়েতের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই দু’টো পঞ্চায়েতের মধ্যে কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই কাজ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।” নবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের বিশ্বনাথ প্রামাণিক বলেন, “আমরা ঠিকমতোই কাজ করছিলাম। কিন্তু শুক্রবার সকালে ফুলিয়া টাউনশিপের প্রধান এসে আমাদের শ্রমিকদের জানান তারা কাজ করলেও টাকা পাবেন না। তাতেই শ্রমিকরা ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।” তবে ফুলিয়া টাউনশিপের পঞ্চায়েত প্রধান রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কয়েকদিন ধরেই এলাকার শ্রমিকেরা আমার এলাকায় এলোমেলোভাবে মাটি কাটছিল। বাধ্য হয়ে আমি তাদের বলেছি এভাবে মাটি কাটলে তারা উপযুক্ত মজুরি থেকে বঞ্চিত হবে। সিপিএম আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করে শ্রমিকদের ক্ষেপিয়েছে।” বিতর্ক এড়াতে উভয় পঞ্চায়েতের মধ্যে কাজের সীমারেখা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|