ডাকঘর

বিপজ্জনক ভাবে নদী পারাপার
২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। জীবনের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ওই পরীক্ষা দিতে গিয়ে প্রতি দিন নাকাল হচ্ছে ফতুল্লাপুর শশীমণি হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। তাদের পরীক্ষা দিতে যেতে হচ্ছে ৪ কিমি দূরের বাঙাবাড়ি হাইস্কুলে। সেখানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় তাদের পাঠানো হয়েছে ব্যস্ত ও বিপজ্জনক জাতীয় সড়ক ধরে আরও তিন কিমি দূরে আহিরণ শচীনন্দন হাইস্কুলে। পরীক্ষার্থীদের ফতুল্লাপুর থেকে আহিরণ যেতে হলে ফিডার ক্যানেল নৌকায় পার হতে হয়। পারাপারের ঘাটে দু’টো মাত্র নৌকা। প্রায় চারশো জন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে গড়ে অন্তত দু’জন অভিভাবক থাকলে মোট সংখ্যাটা দাঁড়ায় হাজার থেকে ১২০০ জন। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে সবাই তাড়াহুড়ো করে নৌকায় ওঠে এবং প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বিপজ্জনক ভাবে ভিড়ে ঠাসা নৌকায় নদী পার হয়। ফেরার সময়ও একই কাণ্ড ঘটে। বেশ কয়েক বছর আগে দুজন ছাত্র নৌকা থেকে নদীতে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে। ফতুল্লাপুর থেকে নদী পারাপার না করে স্থলে পথে যাওয়া যায়, এমন অনেকগুলি পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। তা সত্ত্বেও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নদী পার করতে হবে, এমন পরীক্ষা কেন্দ্র কেন বিবেচনা করা হচ্ছে? বিষয়টি ভেবে দেখা অত্যন্ত জরুরি।


যোগাযোগের সুবিধা চাই জঙ্গিপুরে
জঙ্গিপুর শহর একটি প্রাচীন জনপদ। প্রায় লক্ষাধিক মানুষের নিত্য যাতায়াত এই শহরকে ঘিরে। এখান থেকে কোনও রেলপথ নেই। নেই কলকাতা-সহ অন্যত্র যাতায়াতের জন্য সরকারি কোনও পরিবহণ ব্যবস্থা। এই সব সুবিধাই রয়েছে ভাগীরথীর অপর পাড় রঘুনাথগঞ্জে। এই বিশ্বায়নের যুগে যোগাযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ভাগীরথী নদীর উপরে সেতু থাকায় জঙ্গিপুর-কলকাতাগামী সরকারি বাস চলাচলে কোনও বাধা নেই। সেক্ষেত্রে ভায়া মোরগ্রাম বা লালগোলা হয়ে ওই বাস চলাচল করতে পারে। বেসরকারি বাসে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে কোনও নজর দেওয়া হয় না। জঙ্গিপুর-আসানসোল রুটে প্রতি দিন প্রায় ২০-২২ জোড়া বেসরকারি বাস চলে। তারা খেয়াল-খুশি যেখানে-সেখানে বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলে। ওই বাসে ২০০ কিমি পথ পার হতে ৭ ঘন্টা সময় ব্যয় হয়। এ ব্যাপারে পরিবহণ দফতর ভাববেন কি?
যান চলাচলের অযোগ্য রাস্তা
পাঁচথুপি থেকে কান্দি ভায়া মুনিয়াডিহি রাস্তাটি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে রয়েছে। বেহাল এই রাস্তাটি খানা-খন্দে ভরা। ওই রাস্তার জন্য ফকিরপাড়া, শরডাঙার মতো বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়। তা সত্ত্বেও একপ্রকার বাধ্য হয়েই বাস, ভ্যান, মোটরবাইক, সাইকেল চালিয়ে ওই রাস্তায় যাতায়াত করতে হয়। বাস চলাচলের সময়ে রাস্তার কারণে এক দিকে হেলে পড়ে। স্কুল ও কলেজের প্রচুর ছাত্রছাত্রী খুব কষ্ট করেই তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়। খুদে পড়ুয়াদের স্কুল ভ্যান প্রায় উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি তৈরি হয় গর্ভবতী মায়েদের ও রোগীদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময়ে। বর্ষাকালে ওই দুর্দশা বহু গুণ বেড়ে যায়। বিপজ্জনক ওই রাস্তাটিকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের অসন্তোষ ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে স্থানীয় বিধায়ক বা প্রশাসন কারও কোনও হেলদোল নেই।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.