দ্রুত ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল ছাত্র পরিষদের কয়েকজন কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনার পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শত্রুঘ্ন সিংহ বলেন, “ছাত্র পরিষদের ছেলেরা আমরা ঘরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখায়। চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। আমরা শরীর খারাপ রয়েছে। পরে পুলিশে সবই জানাব। তবে সবাই তো আমার ছাত্রই।” ছাত্র পরিষদের নেতা তুষারকান্তি গুহ অবশ্য বলেন, “পরীক্ষার অজুহাতে নির্বাচন দেরিতে করা হচ্ছে। এদিন কলেজ কর্তৃপক্ষকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। আমরা কোনও ভাঙচুর করিনি। অকারণে অধ্যক্ষ মিথ্যা অভিযোগ করছেন। দ্রুত সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও স্মারকলিপি দেওয়া হবে।”এই কলেজেই কিছু দিন আগে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ দে সরকারকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের জেলার প্রথম সারির নেতা এবং তাঁদের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। দিলীপবাবু তারপরে পদত্যাগ করেন। তখন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয় শত্রুঘ্নবাবুকে। |
এই দিন ছাত্র পরিষদ অভিযোগ করেছে, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বুধবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হবে জুলাইয়ের পরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই এ দিন বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কলেজের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের এতে করার কিছু নেই। জুলাই মাসের পরে সংসদ নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।”
সম্প্রতি একটি গাড়ি ভাড়া নিয়ে গোলমালে ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন এক নেতার সঙ্গে শত্রুঘ্নবাবুর গোলমাল হয়। তাঁকে এবং তাঁর দেহরক্ষীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তখন ওই নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও করেছিলেন শত্রুঘ্নবাবু। পরে কলেজের অন্য এক শিক্ষকের মধ্যস্থতায় অধ্যক্ষ মামলা তুলেও নেন। ইতিমধ্যে কলেজের সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামে ছাত্র পরিষদ। |