পুলিশ আরও কড়া হোক, চাইছেন উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল
শ্চিমবঙ্গ এখন আর ‘খুব নিরাপদ’ রাজ্য নয়। অন্তত এমনটাই ইঙ্গিত করেছেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপালের আরও মন্তব্য, ‘‘পুলিশকে আরও কঠোর হতে হবে।”
বৃহস্পতিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবগঠিত সেনেটের প্রথম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল। বৈঠকের পরে সেখানেই এ রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকেরা তাঁকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।
পরপর তিন সপ্তাহে রাজ্যে তিনটি ধর্ষণের ঘটনা। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য কী? নারায়ণন বলেন, “এই ঘটনাগুলির বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে তাদের আরও কঠোর হতে হবে। ধর্ষণগুলি তো বাইরের লোক করছে না। তাই গোটা সমাজকে, আমাদের সবাইকে তৎপর হতে হবে মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষার জন্য।” তবে রাজ্যে ক’টি ধর্ষণ হয়েছে, তা দিয়ে পরিস্থিতি বিচার করা ঠিক নয় বলেই মনে করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ ছিল নিরাপদতম রাজ্যগুলির একটি। কতগুলি ধর্ষণ হয়েছে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এক জন মহিলাকে ধর্ষণ করা হলেও তা খারাপ। দেখতে হবে ধর্ষকদের ধরা হচ্ছে কি না, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না।” নারায়ণন জানান, মুখ্যমন্ত্রী তো বটেই, তিনিও পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “সবাই চেষ্টা করছে। তবে এ রাজ্যে প্রচুর লোক আসা-যাওয়া করেন (ফ্লোটিং পপুলেশন), তাই নানা সমস্যা রয়েছে।”
সাংবাদিকদের মুখোমুখি রাজ্যপাল।-নিজস্ব চিত্র
ঘটনার তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করছেন। রাজনীতিকদের আর একটু দায়িত্ববান হওয়া উচিত নয় কি? নারায়ণন বলেন, “সে তো রাজ্যপালেরও আরও দায়িত্ববান হওয়া উচিত। আসলে এখন এমন পরিস্থিতি যে, কারও দোষ খোঁজা ঠিক নয়।” প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টার মতে, যাঁরা বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের নিন্দা করা সহজ। আইনশৃঙ্খলা সম্বন্ধে যা খুশি তা-ই বলা যায় বলে মনে করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “আসল কথা হল, আমাদের চারপাশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক ও তাঁর ভূমিকা সম্পর্কে নারায়ণন বলেন, “রাজ্যের উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী বদ্ধপরিকর। এ জন্য যা করার, তিনি করছেন। তিনি বিষয়গুলি নিয়ে ভাবছেন। ওঁকে আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনি। ওঁর মন্তব্যকে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে দেখানো খুবই সহজ।” সেইসঙ্গে একটু হাল্কা সুরেই রাজ্যপালের মন্তব্য, “এখন যে আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি, সেগুলিকেই বা কী ভাবে ঘোরানো-প্যাঁচানো হবে, তা জানি না। এমন তো কোনও মানুষই নেই, যিনি ধর্ষণের ঘটনার নিন্দা করবেন না।” ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে যে রাজনীতি করা হচ্ছে, রাজ্যপাল তা কী ভাবে দেখছেন? নারায়ণন বলেন, “ধর্ষণ নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। কিন্তু কারা রাজনীতি করছে ধর্ষণ নিয়ে? শাসক বা বিরোধী সকলেই ধর্ষণের নিন্দা করবে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে। কিন্তু সব সময়ে তো সব ঘটনাকে আগাম প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। ঘটনা ঘটার পরে কত তাড়াতাড়ি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেটাই দেখা দরকার।”

সূর্যকান্তর ঘরে ‘বিদ্রোহী’ মনোজ
বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের সঙ্গে দেখা করে গেলেন বহরমপুরের কংগ্রেস বিধায়ক তথা রাজ্যে জোট সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তী। বিরোধী দলনেতার ঘরে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা আড্ডা হল দু’জনের। দু’জনেই এই সাক্ষাৎকে ‘সৌজন্যমূলক’ বলে বর্ণনা করেছেন। তবে মনোজবাবু যে হেতু সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যকলাপকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে প্রতিবাদ করে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, তাই বিরোধী বামফ্রন্টের নেতার ঘরে তাঁর পদার্পণ তাৎপর্যপূর্ণ। মনোজবাবুর বক্তব্য, সূর্যবাবুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বরাবরই ভাল। মন্ত্রী থাকার সময় মনোজবাবুর গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ার পরে তাঁর আরোগ্য কামনায় বার্তা পাঠিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। তাই বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বৈঠকে যোগ দিতে এসে বিরোধী দলনেতার ঘরেও ঘুরে গিয়েছেন তিনি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.