বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হল। কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাসের বাসিন্দা এক মহিলা ওই অভিযোগ এনেছেন। অভিযুক্ত ওই পুলিশ অফিসারের নাম দেবব্রত বিশ্বাস। বুধবার ওই মহিলা কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মহিলার অভিযোগ, গত বছর তাঁর সঙ্গে দেবব্রতবাবুর পরিচয় হয়। দেবব্রতবাবু তখন কৃষ্ণগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন। মহিলা কমিশনের কাছে করা অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছেন, থানার আবাসনে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। তারপরে তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারবার সহবাসে রাজি করানো হয়েছে। তাতে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন। আদালতে ওই মহিলা জানিয়েছেন, তখন চাপ দিয়ে তাঁকে গর্ভপাত করানো হয়। সেই সময় ওই এএসআইয়ের সঙ্গে ওই থানারই আরও তিন পুলিশকর্মী জড়িত ছিলেন। ওই মহিলার দাবি, তাঁর এক নিকটাত্মীয়ও এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন। ওই মহিলা জানিয়েছেন, এই সব ঘটনার পরে তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন দেবব্রতবাবু। দেবব্রতবাবু যে বিবাহিত, সে কথাও তিনি জানতেন না। ওই মহিলার দাবি, ২০১১ সালের ২৪ অক্টোবর তিনি এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানান। তবে কোনও সুবিচার পাননি, সে কারণেই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “ওই মহিলা থানায় কোনও এফআইআর করেননি। আমাকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। বিভাগীয় তদন্ত চলছে। ওই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ডও করা হয়েছিল। তবে পরে সাসপেনশন তুলে নেওয়া হয়। তাঁকে তেহট্ট থানায় পাঠানো হয়েছে।” দেবব্রতবাবু অবশ্য এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। ওই মহিলার দাবি, “ব্যাপারটা চাপা দিতে বিভিন্ন মহল থেকে চাপ আসতে শুরু করে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মারফত টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার প্রস্তাবও আসে। বাধ্য হয়ে আদালতে এসেছি।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা বলেন, “এই ধরনের ঘটনা কখনও কাম্য নয়। ঠিক কী ঘটেছে, তা বিষদে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” ওই মহিলার আইনজীবী প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিচারক অভিযোগটি এফআইআর হিসাবে গ্রহণ করে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে পুলিশ সুপার ও মহিলা কমিশনের কাছেও এ ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে কোনও সুবিচার মেলেনি।” |