হুগলি জেলার সদর শহর চুঁচুড়া থেকে পাণ্ডুয়াগামী ৩৯ নম্বর বাসটি (ভায়া ব্যান্ডেল-পোলবা-মহানাদ) অত্যন্ত ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথে প্রতি দিন যে সংখ্যায় বাস ও ট্রেকার চলে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। এ ছাড়াও, হাওড়া-বর্ধমান মেইন লাইনের ব্যান্ডেল ও পাণ্ডুয়া স্টেশন ছুঁয়ে এই রাস্তাটির কিছু অংশ চওড়া হলেও পোলবা থেকে মহানাদ পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটির হাল খারাপ। বাকি রাস্তাটি চওড়া পিচ রাস্তায় পরিণত হলেও কোনও অজ্ঞাত কারণে পোলবা থেকে মহানাদ পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সর্বত্র খানাখন্দে ভরা রাস্তাটি বর্ষায় ভয়াবহ আকার নেয়। এ বার বর্ষার পরে সামান্য সংস্কারের কাজ হলেও পরিস্থিতি এখন যে কে সেই। ৭ ফুট চওড়া রাস্তার কোনও কোনও অংশ ভেঙে জলাশয়ের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। সুদর্শন, স্কুলতলা, রামনাথপুর পঞ্চায়েতের কাছে পাঁড়ুই ও দুই সতীন পুকুর সংলগ্ন রাস্তাটি কার্যত ‘মরণ ফাঁদ’-এ পরিণত হয়েছে। পিচের লেশমাত্র নেই। রাস্তার এই হাল হওয়ায় ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগেই আছে। রাস্তাটি সংস্কার করে চওড়া করা জরুরি। সেই সঙ্গে সংলগ্ন জলাশয়গুলির সীমানা প্রাচীর তৈরি করা দরকার।
সাম্য বাঁক। শালুকগোড়, রামনাথপুর, পোলবা।
|
হাওড়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ডিহিভুরসুট। এখান থেকে দামোদর নদের পশ্চিমপাড়ের বাঁধ বরাবর হুগলির পুড়শুড়া পর্যন্ত পাকা রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম। এই রাস্তা আরামবাগ-চাঁপাডাঙা রুটে মিশেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তাটি মেরামত হয় না। মূল রাস্তার উপরের অংশে পিচ উঠে হতশ্রী দশা। খানা-খন্দে ভরা জায়গায় জায়গায়। অথচ, হুগলি, হাওড়া, মেদিনীপুর প্রভৃতি জেলাগুলির মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী হিসাবে রাস্তাটি দিয়ে প্রচুর মানুষ গাড়ি যাতায়াত করে। বিভিন্ন দূরপাল্লার বাস, আলু ও বালি-ভর্তি ট্রাকও আসা-যাওয়া করে। যে কোনও সময় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আছে। স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা বাদুর-ঝোলা হয়ে বাসে, ট্রেকারে যাতায়াত করে। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষি আকর্ষণ করছি।
সুখেন্দু চন্দ্র। ভবাণীপুর, চিত্রসেনপুর, হাওড়া।
|
স্বাধীনতার পরে এত বছর পেরিয়ে গেল, অথচ এই রাজ্যের যা উন্নতি হওয়ার আশা ছিল, তা হয়নি। বর্তমানে মানুষ রূপকথার মতো উন্নয়ন চাইছেন। কলকাতা শহর লন্ডন হবে, মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু কলকাতার পাশেই লাগোয়া-শহর হাওড়ার কথা কী ভাবছে সরকার? শহরটি প্রায় পাঁচশো বছরের পুরনো। বড় শহর কলকাতা যদি ‘লন্ডন’ হয়, তা হলে হাওড়া অন্তত ‘কলকাতা’ হোক। হাওড়াকেও বড় শহর হিসেবে গড়ে তোলা হোক। বন্ধ কারখানা খোলা হোক। হাওড়ার গর্ব এক সময় ছিল এখানকার ক্ষুদ্র শিল্পগুলি। এর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হোক। পুরনো সেতুগুলি সারানো দরকার।
সুজয়কুমার রায়। বাণীপুর, হাওড়া।
|
ভদ্রেশ্বর থেকে চন্দননগর গঞ্জ রুটের সমস্ত অটো ভদ্রেশ্বর স্টেশন থেকে ছেড়ে তেলিনিপাড়া বাবুরবাজার (ভদ্রেশ্বর) পর্যন্ত যায় বেং সেখান থেকে ভদ্রেশ্বর স্টেশনে ফেরত আসে। ভদ্রেশ্বর স্টেশন থেকে কম পক্ষে দু’জন চন্দননগরের যাত্রী না পেলে কোনও অটোই চন্দননগর পর্যন্ত যায় না। ফলে, ভদ্রেশ্বর স্টেশনে অনেক সময়ে চন্দননগর যাওয়ার এক জন যাত্রীকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এমনকী কোনও যাত্রীর জরুরি প্রয়োজন থাকলে তাঁকেও আরও এক চন্দননগরগামী যাত্রীর জন্য দাঁড়াতেই হয়। এই সমস্যার কথা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরে আনতে চাই।
কালীশঙ্কর মিত্র। পূর্বাচলপল্লি, ভদ্রেশ্বর।
|
জগৎবল্লভপুর ব্লকের হাঁটাল পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উবড়োর পোল চরম দুদর্শায় পড়ে। বহরিয়া ও হাঁটাল অঞ্চলের যোগাযোগকারী একমাত্র সেতু এটি। কেন্দ্রীয় গ্রাম সড়ক যোজনায় জালালসি থেকে হাঁটাল পিচমোড়া রাস্তায় রূপান্তরিত হয়েছে। অথচ এই পথের উপরেই উবড়োর পোল পুরনো রাস্তার ইতিহাসের সাক্ষী। পোলের একপ্রান্তে খুঁটির উপরে লাগানো রয়েছে একটি সরকারি বোর্ড, তাতে লেখা ‘ভারি যান চলাচল নিষিদ্ধ।’ সেতুর দু’পাশের রেলিং ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় দিন গুনছে। পোলটি সংস্কার করা জরুরি।
শ্রীমন্ত পাঁজা। গঙ্গাধরপুর, পাঁচলা।
|
চন্দননগরের আলোক শিল্পীদের হাতের কাজের চাহিদা গোটা ভারতে। শিল্পীর বাড়ির সকলেই কমবেশি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হন। কিন্তু এঁদের ভবিষ্যৎ বলতে কিছু নেই। যত দিন কর্মক্ষমতা থাকে, তত দিন কোনও মতে চলে। বেশির ভাগ শিল্পীর শেষ জীবন কাটে খুবই হতশ্রী দশায়। এই শিল্পীদের কথা ভাবা উচিত সরকারের। রবীন্দ্রনাথ নাথ।
আন্দুল-মৌরি, হাওড়া।
|
বালি ও বেলুড় অঞ্চলে রেলের সাবওয়েতে বৃষ্টির নোংরা জল জমে। নীচের নোংরা জলের মধ্যে দিয়ে হাঁটা এক জঘন্য অভিজ্ঞতা। লাইনের উপর থেকেও নোংরা জল পড়ে। সর্বাঙ্গ ভিজে যাওয়ার মতো দশা হয়। বছরের পর বছর এ ভাবেই চলছে। পুর কিংবা রেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক। বহু মানুষ যাতায়াতের পথে সমস্যায় পড়েন।
লক্ষ্মণ সাঁতরা। দাদপুর, হুগলি। |