নিজস্ব সংবাদদাতা • হরিপাল |
এক যুবককে পিটিয়ে মারার ঘটনায় অভিযোগ উঠল তাঁর দাদার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হরিপালের গোপীনগর গ্রামের গড়বাগানে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম স্বপন মাঝি (২৫)। তাঁর মা খুনের মামলা দায়ের করেন হরিপাল থানায়। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তের জন্য। চন্দননগরের এসডিপিও তথাগত বসু বলেন, “বড়ভাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁর খোঁজ করছে পুলিশ।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, স্বপনবাবুরা তিন ভাই। তিন জনেই অবিবাহিত। একই বাড়িতে বিধবা মা ও দিদিমাকে নিয়ে থাকেন তাঁরা। মঙ্গলবার রাতে ঝড় উঠেছিল। বড়ভাই তপনের ঘরের চাল দিয়ে জল ঝরছিল। ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। পাশের ঘর থেকে উঠে আসেন মেজো ভাই স্বপনও। ঘরদোরের অবস্থা নিয়ে ওই রাতেই দু’জনের বচসা বাধে। মা-দিদিমা ঝগড়া থামাতে ছুটে এসেছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। স্বপন-তপন দু’জনেই লরির খালাসির কাজ করেন। তপনের ঘরে লরির একটি ভাঙা পাত রাখা ছিল। অভিযোগ, সেটি দিয়ে ভাই স্বপনের পেটে ঘা মারেন দাদা। যন্ত্রণায় কাতর স্বপন বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসেই পড়ে যান। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওই যুবক। ছোট ভাই বিশু চিৎকার করে লোক ডাকেন। হরিপাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় স্বপনকে। পরে পাঠানো হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তপন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
বিশু বলেন, “আমি সন্ধে ৭টা নাগাদ শুয়ে পড়ি। গভীর রাতে দাদাদের চিৎকারে উঠে পড়ি। আমি একবার ও ঘরে গিয়ে ফের চলে আসি নিজের ঘরে। মা ও দিদিমা দাদাদের থামানোর চেষ্টা করছিলেন। হঠাৎ শুনলাম, মেজদা বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে করতে বাড়ির সামনে কলাগাছের গোড়ায় গিয়ে পড়ে গেল। পেট থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। তত ক্ষণে বড়দা পালিয়েছে। ঘরে একটা লোহার পাত পড়েছিল।” |