সিআইএফ-ইএফআর বিরোধ
ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত, ফের উত্তেজনা সালুয়ায়
ক কলেজ ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ ঘিরে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে খড়্গপুরের সালুয়ায়। রাজ্য পুলিশের অন্তর্গত সিআইএফ ও ইএফআরের জওয়ানদের মধ্যে ফের বিরোধ বেধেছে এই ঘটনা নিয়ে।
অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় ইএফআর (ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেল) পরিবারের এক কলেজ ছাত্রীকে সিআইএফের (কাউন্টার ইনসার্জেন্সি ফোর্স) এক জওয়ান উত্ত্যক্ত করেন। প্রতিবাদে গভীর রাতে সিআইএফ ব্যারাক ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেন স্থানীয় ইএফআর পরিবারের লোকজন। বুধবার সকাল থেকে দফায়-দফায় বিক্ষোভ হয়। ডিআইজি (মেদিনীপুর) বিনীত গোয়েল বলেন, “আপাতত ৩৫৪ ধারায় শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করা হয়েছে। ‘অজ্ঞাতপরিচয় সিআইএফ জওয়ানে’র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ছাত্রী। সেই মতোই তদন্ত শুরু হয়েছে। সত্যিই অভিযুক্ত যুবক সিআইএফ জওয়ান কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এ দিকে পরিস্থিতি দেখে সিআইএফের অন্দরে ফের ‘অস্থায়ী’ ক্যাম্প স্থানান্তরের দাবি উঠছে। এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে চাননি সিআইএফের এসপি মনোজ বর্মা। তবে, এক পুলিশ-কর্তা বলেন, “বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনার জন্য এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। জওয়ানদের দাবি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।”
ঘটনার পরে জওয়ানদের ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। নিজস্ব চিত্র।
গত শুক্রবার রাতে এক মহিলাকে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল সালুয়া। শিবরাত্রি উপলক্ষে আয়োজিত মেলার মাঠে গোলমাল বাধে। অভিযোগ, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ মেলায় আসা সিআইএফের এক জওয়ান ইএফআর পরিবারের এক মহিলার প্রতি কটূক্তি করেন। এই নিয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে বচসা-মারপিট হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে জখম হন ২০ জন। এর মধ্যে সিআইএফের জওয়ানই ১৮ জন। পুলিশি তৎপরতায় ধীরে ধীরে যখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল খড়্গপুরের এই এলাকা, ঠিক তখনই এক কলেজ ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ ঘিরে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
মঙ্গলবার রাতের ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, মেদিনীপুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী রাত সাড়ে আটটা নাগাদ টিউশন সেরে স্কুটারে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে এক যুবক মোটর সাইকেলে তাঁর পিছু নেন। পুরনো বস্তিতে ঢোকার কিছু আগে বাইকটি স্কুটারের সামনে এসে দাঁড়ায়। ওই ছাত্রীর কাপড় ধরে টানার চেষ্টা করেন বাইক আরোহী। কুরুচিকর মন্তব্যও করেন। ছাত্রী চিৎকার করলে ওই যুবক পালিয়ে যান। স্থানীয় ইএফআর পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, বাইক আরোহী সিআইএফের জওয়ান। পুলিশের বক্তব্য, অভিযোগকারিণী যে মোটর সাইকেলের কথা বলেছেন, সিআইএফ ব্যারাকে তেমনটি নেই। একটি কালো রঙের বাইক থাকলেও তার মালিক গত দু’দিন ধরে ব্যারাক থেকে বেরোননি। পুলিশের বক্তব্য, অন্য কেউও ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করে থাকতে পারেন। সে জন্য তদন্ত হচ্ছে। স্থানীয়রা অবশ্য সিআইএফের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগেই অনড় রয়েছেন। ওই ছাত্রী বলেন, “অভিযুক্তকে দেখলে আমি চিনতে পারব। চিৎকার করার পরই ওই যুবক বাইক নিয়ে সিআইএফ ক্যাম্পের দিকে চলে যায়।”
এই পরিস্থিতিতে সিআইএফের অন্দরেও ফের ‘অস্থায়ী’ ক্যাম্প স্থানান্তরের জোরালো দাবি উঠেছে। সিআইএফ জওয়ানদের দাবি, তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যখন-তখন ক্যাম্পের সামনে এসে স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। ক্যাম্পে ঢোকার চেষ্টা করছেন। পুলিশের একাংশ আবার মনে করছে, সালুয়ায় সিআইএফ ক্যাম্প থাকুক, তা চাইছেন না ইএফআর পরিবারের লোকজন। তাই নানা ভাবে তাঁরা ‘চাপ’ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.