এক ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্ধমানের হাটুদেওয়ান পীরতলা এলাকার ঘটনা। বুধবার বিকেলে ওই তরুণীর বাবা বর্ধমান থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন।
ওই তরুণীর বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগে জানান, মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর মেয়ে পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে বলে জানায়। স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি জানান, তাঁর মেয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ‘ধর্ষিতা’র বাবা বলেন, “মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি, এলাকার এক মহিলা খাবারের লোভ দেখিয়ে প্রায়ই ওকে তাদের বাড়ি নিয়ে যেত। সেখানেই এক যুবক তাকে ধর্ষণ করে। আরও এক যুবক এ ব্যাপারে তাকে সাহায্য করে।” তিনি জানান, ঘটনার কথা তাঁরা স্থানীয় তৃণমূল নেতা রবীন নন্দীকে জানান। রবীনবাবু লোকজন নিয়ে ওই যুবকের বাড়ি ঘেরাও করেন। শহর তৃণমূল সেবা দলের ভাইস চেয়ারম্যান রবীনবাবু বলেন, “আমি বর্ধমান থানায় খবর দিলে পুলিশ ওই দুই যুবককে ধরে নিয়ে যায়।”
বিকেলে থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণীর বাবা। ওই তরুণীকে বর্ধমান মহিলা পুলিশ সেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর বাবা বলেন, “আমার মেয়ে কোনও মতে সামান্য কথাবার্তা বলতে পারে। ধর্ষণের পরে লজ্জায় কুঁকড়ে ছিল। তার উপরে ওই তিন জন তাকে হুমকি দেয়, এ ব্যাপারে কিছু বললে মেরে ফেলা হবে। অন্তঃসত্ত্বা না হলে আমার মেয়ে হয়তো এ ব্যাপারে মুখই খুলত না।”
ওই তরুণীর প্রতিবেশী শেখ রাজেশ, শেখ নজরুল, শেখ মিঠুনরা বলেন, “এই দুই যুবককের খোঁজে প্রায়ই পুলিশ এলাকায় আসে। তারা রেলের ওয়াগন থেকে কয়লা চুরিতে জড়িত বলে শুনেছি।” জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগে নাড়ু ভুঁইয়া ও তাকে সাহায্য করার জন্য শেখ আজিজুল নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিনা বিবি নামে এক মহিলার খোঁজ চলছে। বৃহস্পতিবার ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।” |