বনধ-নামা |
ধর্ম-যুদ্ধ |
• বন্ধ ‘ব্যর্থ’ করার জন্য রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই প্রথম সরকার তার দায়বদ্ধতা, গুরুত্ব এবং প্রশাসনিক ধর্ম পালন করে দেখাল।
|
• এটা বন্ধ নয়, সাধারণ ধর্মঘট। সরকার নখ-দাঁত নিয়ে যে ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তাতে ২৪ ঘণ্টা আগেই ধর্মঘট সাফল্যমণ্ডিত হয়েছিল!
|
• সরকারি কর্মীদের জন্য আমি গর্বিত। ৯৯% কাজে যোগ দিয়েছেন। যাঁরা দেননি, তাঁদের ব্যাপারটা আমরা দেখে নেব। সরকার কী করবে, এখনই কিছু বলার নেই।
|
• কিছু কর্মচারী ছিলেন, কাজ ছিল না! ভীতি প্রদর্শন, ব্রেক অফ সার্ভিসের হুমকি সত্ত্বেও ধর্মঘট হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এক জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দেখান!
|
• ৩৪ বছর পরে এই প্রথম বন্ধ ব্যর্থ করে সরকারি কর্মীরা কাজে এসেছেন। এটা একটা বৈপ্লবিক কাজ। এত দিন বন্ধের সময় কাজে না-যাওয়ার জন্য কর্মীদের দোষারোপ করা হত। কিন্তু এটা ভুল। ভুলটা নেতৃত্বের।
|
• কাজের টেবিলে শোয়া। সকালে বাংলা ব্যান্ড, রাতে অনুরোধের আসর। মেনুটা জানি না। মহাকরণের তিন তলায় সাংবাদিকদের উঠতে দেওয়া হয়নি, নইলে দেখতেন! এটা সত্যিই ইতিহাস! নতুন কর্মসংস্কৃতি!
|
• সিপিএম অচল পয়সার রাজনীতি করছে। বন্ধের সর্বনাশা সংস্কৃতি আজকেই শেষ হয়ে যাক। আর যেন কেউ বন্ধ করার সাহস না পায়! বনধ করতে হলে ১০ বার ভাবতে হবে! |
• এর পর এ ভাবে ধর্মঘট ভাঙতে গেলে মুখ্যমন্ত্রীকে ১০ বার ভাবতে হবে! মুখ্যমন্ত্রী ধর্মঘট মোকাবিলার যে পথ নিয়েছেন, তাতে ভাঙতে পারবেন না। উনি যেটা পারবেন, আরও একটা বৃহত্তর ধর্মঘটের ক্ষেত্র প্রস্তুত করবেন! |