ধর্মঘটের দিনে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল দেখল দু’রকম ছবি। সরকারি অফিসগুলিতে হাজিরা ছিল প্রায় একশো শতাংশ। কোথাও সোমবার রাত থেকে, কোথাও আবার মঙ্গলবার ভোরেই সরকারি কর্মীরা হাজির হয়ে গিয়েছিলেন নিজেদের দফতরে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, সরকারি অফিসে হাজিরার সংখ্যা ছিল প্রায় ৮৬.৫ শতাংশ। এ ছাড়া বন্ধের কার্যত চেনা ছবি দেখা গিয়েছে শিল্পাঞ্চলের অন্যত্র। সরকারি বাস বেশ বেরোলেও বেসরকারি বাস প্রায় চলেনি।
সরকারি বাসচালকেরা নিরাপত্তার জন্য হেলমেট পরে বাস চালিয়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে বাসের সংখ্যা। অটো চলেছে বিক্ষিপ্ত ভাবে। ট্রেনের খালি কামরায় অফিস-যাত্রীদের ভিড় ছিল না। |
বাসে দেখা যায়নি বাদুড়ঝোলা ভিড়। স্ট্যান্ডে যাত্রীর অপেক্ষায় সকাল থেকে দাঁড়িয়ে অটোচালকেরা। স্কুল-কলেজগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রায় সবাই উপস্থিত থাকলেও ছাত্রছাত্রীর দেখা নেই।
আগরপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ে এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলকর্মীরা। অভিযোগ, ছাত্রীদের আসতে বারণ করা হয়েছিল স্কুলের পক্ষ থেকে। স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অধিকাংশ কলেজেও এ দিন ক্লাস হয়নি। ব্যারাকপুরের একটি কলেজের এক শিক্ষিকা বলেন, “শুধু চাকরি বাঁচাতে যাওয়া। ছুটির মেজাজেই কেটেছে সকলের। কিন্তু ফেরার সময়ে বাস-অটো প্রায় ছিলই না।” ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক অজয় পাল বলেন, “হাজিরার সংখ্যা অস্বাভাবিক ভাল ছিল। কোনও গোলমাল হয়নি।” |