একটি বেসরকারি বাস থামিয়ে জোর করে আটকে রাখাকে কেন্দ্র করে ধর্মঘটী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষে উত্তাল হল বারাসত। মঙ্গলবার সকালে বারাসতের হেলাবটতলার মোড়ে ঘটনাটি ঘটে। এর জেরে আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। যদিও জেলার পুলিশকর্তাদের দাবি, দু’পক্ষের তরফে কোনও অভিযোগ বারাসত থানায় দায়ের
করা হয়নি। ফলে কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ ব্যারাকপুর থেকে ৮১ নম্বর রুটের একটি বাস বারাসতে যাচ্ছিল। হেলাবটতলা মোড়ে বাসটিকে থামান ধর্মঘটকারীরা। এই নিয়েই তাদের সঙ্গে গোলমাল বাধে স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকদের। ওই সময়েই ধর্মঘটের সমর্থনে ফরওয়ার্ড ব্লকের একটি মিছিল পৌঁছয় হেলাবটতলার কাছে। সেখানেই বক্তৃতা দিচ্ছিলেন বারাসত পুরসভার কাউন্সিলর, ফরওয়ার্ড ব্লকের সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। |
এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বাসটি হেলাবটতলা মোড়ে পৌঁছলে সেটিকে থামান ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মীরা। অভিযোগ, বাসচালক রাজি না হওয়ায় জোর করে তাঁকে নামানোর চেষ্টা করতে গিয়ে মারধর করেন ধর্মঘটকারীরা। যাত্রীদেরও বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল সমর্থকেরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা ও পরে সংঘর্ষ বেধে যায়। এই গোলমালই ছড়িয়ে পড়ে কলোনি মোড় পর্যন্ত। ঘটনাস্থলে হাজির পুলিশকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেও সফল হননি। শেষে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে দু’পক্ষকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়। এই ঘটনার জেরে আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক।
তৃণমূলের অভিযোগ মানতে নারাজ ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, বাস না চালাতে অনুরোধ করা হয়েছে। ওই বাসটির চালক তাতে রাজি না হওয়ায় চলে যেতে দেওয়া হয়।
কোনও জোর-জুলুমের ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি করেছেন তাঁরা। |