|
|
|
|
১০০ দিনের প্রকল্পে এ বার বেড়ার কাজও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একশো দিনের প্রকল্পে গাছ লাগানোর অনুমতি আগেই মিলেছিল। এ বার এই প্রকল্পের টাকায় গাছের চার পাশে বাঁশের বেড়াও দেওয়া যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামোন্নয়ন দফতর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জেলায় পৌঁছেছে। জেলা থেকে তার প্রতিলিপি আবার ব্লকে ব্লকে পৌঁছে গিয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে খুশি সাধারণ গ্রামবাসী থেকে প্রশাসনিক কর্তারাও। তাঁদের বক্তব্য, শুধু গাছ লাগালেই তো হবে না। তাকে বাঁচানোর জন্যও পদক্ষেপ করতে হবে। অনেক সময়েই দেখা যায়, রাস্তার পাশে গাছ লাগানো হলেও দেখভালের অভাবে কিছুদিন পরে তা নষ্ট হয়ে যায়। গরু-ছাগলে গাছ খেয়ে নেয়। বাঁশের বেড়া দেওয়া হলে গাছের চারা সুরক্ষিত থাকতে পারে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, শুরুতে ঝাড়খণ্ডের গুমলা ও ছত্তীসগঢ়ের সারগুজা জেলায় রাস্তার পাশে গাছ লাগানোর পর তার চার পাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা হয়। দেখা যায়, এর ফলে চারা সুরক্ষিত থাকছে। এর পরেই একশো দিনের প্রকল্পে গাছের চার পাশে বাঁশের বেড়া দেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে কেন্দ্রের তরফেই এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জেলায় জেলায় পাঠানো হয়। প্রকল্পের জেলার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রিয়াঞ্জন দাস বলেন, ‘‘এ বার গাছের চার পাশে বেড়াও দেওয়া যাবে। ইতিমধ্যে প্রতিটি ব্লকেই এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।” এমনিতেই একশো দিনের প্রকল্পে এ জেলার পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়। ব্লকে ব্লকে টাকা পড়ে থাকলেও সে ভাবে কাজ এগোচ্ছে না বলে অভিযোগ। এ জন্য কে দায়ী, সে নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। জেলা প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, এখন কাজে গতি এসেছে। কাজ কতদূর এগোল, কোথায় সমস্যা তা দেখতে নিয়মিত বৈঠকও হচ্ছে। এ বার থেকে গাছের চার পাশে বাঁশের বেড়া দেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় প্রকল্পে কাজের পরিধি আরও বাড়ল। |
|
|
|
|
|