|
|
|
|
বেনিয়মের নালিশ, ঘেরাও প্রধান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
পঞ্চায়েতের কাজে বেআইনি ভাবে হস্তক্ষেপ ও ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে বেনিয়মে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। তার জেরে সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত প্রায় ৬ ঘণ্টা তৃণমূলের প্রধান তনুশ্রী মেইকাপকে পঞ্চায়েতে আটকে বিক্ষোভ দেখাল দলেরই অন্য একটি গোষ্ঠী। আটকে রাখা হয় তাঁর স্বামী অসিত মেইকাপকেও। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।
তনুশ্রীদেবী বলেন, “পুরনো আক্রোশ থেকে আমাকে এবং আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার আমাদের পঞ্চায়েত অফিসে আটকে রেখে হেনস্থাও করা হয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিলাম। তবে দলীয় বিষয় বলে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করিনি।”
ঘটনাটি কোটবাড় পঞ্চায়েতের। পঞ্চায়েত ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় কলাবেড়িয়া হাইস্কুলের কাছে একটি মদের দোকানের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। ওই ঘটনার জেরে এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর নেতা ভগবানপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হারুণ রশিদ ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ সত্যশঙ্কর অধিকারীর মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। স্থানীয় সূত্রের খবর, সত্যশঙ্করবাবু এবং তাঁর অনুগামী নেতা-কর্মীরা মদের দোকানের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার বিরোধিতা করেন। সত্যশঙ্করবাবুর কথায়, “এলাকায় নতুন করে কোনও মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের আপত্তি আছে। তা ছাড়া দোকানটি এলাকার একটি স্কুলের কাছে করতে চাওয়া হয়েছে। তা মানা যায় না।”
তাঁর অভিযোগ, স্ত্রী প্রধান হওয়ায় অসিতবাবু পঞ্চায়েতের কাজে বারবার হস্তক্ষেপ করেছেন, দোকানের লাইসেন্স চেয়ে ঝামেলাও করেছেন। গত বুধবার পঞ্চায়েতের রাজস্ব সংগ্রাহক মুকুল প্রধানের হেফাজত থেকে দু’টি লাইসেন্স ফর্ম নিয়ে চলে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই পঞ্চায়েত কর্মী প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগও জানান। সত্যশঙ্করবাবু বলেন, “প্রধান ব্যবস্থা না নেওয়ায় থানায় বিষয়টি জানাই। কিন্তু পুলিশ জানায়, পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ অভিযোগ না জানালে অভিযোগপত্র গ্রাহ্য হবে না। প্রধানের কাছে তাই থানা ও ব্লকে অভিযোগ জানানোর দাবি জানাই।” বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় প্রধান এবং প্রধানের স্বামীকে পঞ্চায়েতে আটকে রাখা হয় বলে জানান সত্যশঙ্করবাবু। রাতে পুলিশের হস্তক্ষেপে লাইসেন্স ফর্ম দু’টি ফেরত দেন অসিতবাবু। |
|
|
|
|
|