|
|
|
|
ধর্মঘটের দিন দাসপুরে সংঘর্ষ সিপিএম-তৃণমূলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে মঙ্গলবার সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ বাধে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে। মোটরবাইক ও বাড়ি-দোকান ভাঙচুর, পুলিশের লাঠিচার্জদুপুরের দিকে আচমকাই উত্তেজনা ছড়ায় দাসপুরের নিমতলা বাজার এলাকায়। সিপিএম-তৃণমূল, দু’পক্ষেরই কয়েক জন আহত হন। তাঁদের ঘাটাল ও দাসপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সকালের দিকে নিমতলায় দোকান, বাজার বন্ধ রাখার জন্য মিছিল করে সিপিএম। বেলার দিকে দোকান-বাজার খুলতে গোটা দশেক মোটরবাইকে হাজির হয় তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, তখনই সিপিএমের লোকজন তৃণমূল সমর্থকদের উপর চড়াও হয়। তৃণমূলের ৬ জন জখম হয়। তাদের মোটরবাইকগুলিও ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পরেই ঘাটাল ও দাসপুর থেকে তৃণমূলের কয়েকশো কর্মী-সমর্থক হাজির হয় এলাকায়। আসেন ঘাটাল ও দাসপুরের দুই তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলই এবং অজিত ভুঁইয়া। ডিএসপি (ক্রাইম) ওয়াংদেন ভুটিয়ার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনীও পৌঁছয়। ‘হামলাকারী’ সিপিএম নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয় তৃণমূল কর্মীরা। |
|
ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তৃণমূলকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাতে বলে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও তৃণমূল কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে স্থানীয় সিপিএম নেতা-কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়। পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। তৃণমূলের জনা আটেক পুলিশের মারে জখম হয়। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়। তৃণমূল সমর্থকদের মারধর ও তাদের মোটরবাইক ভাঙচুরের অভিযোগেও পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
সিপিএমের অভিযোগ, সোমবার রাত থেকেই তৃণমূলের ‘দুষ্কৃতীরা’ এলাকায় সন্ত্রাস করেছে। মঙ্গলবারও তৃণমূলের হামলায় দাসপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক গুণধর বোস-সহ ৭ জন জখম হয়েছেন বলে সিপিএমের জোনাল সম্পাদক সুনীল অধিকারীর অভিযোগ। দাসপুরের এই ঘটনা ছাড়া ঘাটাল মহকুমায় ধর্মঘটে আরও কোথাও অশান্তি হয়নি। সরকারি সব দফতর, স্কুল-কলেজ খোলা ছিল। কিন্তু যানবাহন ও বেশিরভাগ দোকানপাটই ছিল বন্ধ। |
|
|
|
|
|