ধর্মঘট ‘ব্যর্থ’ করতে সেই পথে নামল তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
মুখ্যমন্ত্রী যতই বলুন--ধর্মঘট রুখতে পথে নামবে না তৃণমূল কর্মীরা, জঙ্গলমহলে মঙ্গলবার কিন্তু দেখা গেল অন্য ছবিই। রীতিমতো মিছিল করলেন তৃণমূল কর্মীরা। আর দলের মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা সরকারি কর্মী-অফিসারদের হাজিরা খতিয়ে দেখলেন বিভিন্ন দফতরে গিয়ে। বিভিন্ন দফতর ও স্কুলগুলির দরজায় টাঙানো ধর্মঘটীদের ঝান্ডা খুলে নিয়ে ধর্মঘট ‘ব্যর্থ’ করার দায় নিজেদের কাঁধেই তুলে নেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
লালগড়ের ধরমপুর পঞ্চায়েতের দরজায় ধর্মঘটের সমর্থনে পতাকা টাঙিয়েছিল সিপিএম। তৃণমূলের ধরমপুর অঞ্চল-সভাপতি দিলীপ মাহাতোর নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা পঞ্চায়েত কার্যালয় খোলার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দিলীপবাবুরা সিপিএমের পতাকা সরিয়ে পঞ্চায়েত অফিস খুলে দেন। ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়ার একটি কাগজকলে গোলমাল হয় তৃণমূল কর্মী ও সিটু সমর্থকদের মধ্যে। তৃণমূলের শ্রমিক-নেতা কালীপদ মাহাতোকে সিটু-সমর্থকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। পুলিশি পাহারায় ওই কাগজকলে উৎপাদন-কাজ অবশ্য চালু ছিল। |
|
ঝাড়গ্রামের সরকারি অফিস পরিদর্শনে মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। নিজস্ব চিত্র। |
মেদিনীপুর-লালগড়-শালবনি-গোয়ালতোড় এবং মেদিনীপুর-ধেড়ুয়া রুটে বেসরকারি বাস চললেও বাদবাকি জঙ্গলমহলে বেসরকারি বাস-ট্রেকার চলেনি। তবে সকালের দিকে ঝাড়গ্রামে এক-দু’টি সরকারি বাস চলেছে। ঝাড়গ্রাম শহর-সহ বেলপাহাড়ি, বিনপুর ও জামবনির কয়েকটি এলাকায় দোকানপাট আংশিক বন্ধ ছিল। লালগড়ের অধিকাংশ এলাকায় জনজীবন স্বাভাবিক ছিল। ঝাড়গ্রামের ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক মুম্বই রোডে পণ্যবাহী লরি চলাচলও স্বাভাবিক ছিল। ছিল বিশাল সংখ্যক যৌথ বাহিনীর টহল-তল্লাশি।
সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ ধর্মঘটের সমর্থনে বামপন্থীরা ঝাড়গ্রাম শহরে মিছিল করেন। একই সময়ে দলীয় পতাকা নিয়ে মোটরবাইক র্যালি শুরু করেন শহর তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা সরকারি গাড়িতে চেপে বেরিয়ে পড়েন বিভিন্ন সরকারি দফতর পরিদর্শনে। পরিদর্শন শেষে সুকুমারবাবুর দাবি, জঙ্গলমহলের সর্বত্র সরকারি দফতরে একশো শতাংশ কর্মী এ দিন হাজির ছিলেন। সিপিএমের ক্ষমতাসীন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিও এ দিন প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে খোলা হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। |
|