|
|
|
|
অকংগ্রেসি রাজ্যেই প্রভাব ধর্মঘটের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বাম প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ, কেরল ও ত্রিপুরার বাইরে শুধু বিরোধী-শাসিত তামিলনাড়ু, কর্নাটক, বিহার, আর ওড়িশাতেই বড়সড় প্রভাব পড়ল এগারোটি শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ২৪ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘটের। কংগ্রেস-শাসিত অন্ধ্রপ্রদেশেও খানিকটা ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জনজীবন। কিন্তু এর বাইরে দেশের বাকি অংশ ছিল মোটামুটি স্বাভাবিক। রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় আজ সকাল থেকেই আইএনটিইউসি, এআইটিইউসি, সিটু এবং বিএমএস-এর শীর্ষনেতারা একসঙ্গে ধর্মঘটের সমর্থনে সভা করলেও একমাত্র পরিবহণই কিছুটা ব্যাহত হয়। গোটা দেশে ট্রেন চলাচলও প্রায় স্বাভাবিক ছিল। ফলে প্রথম কংগ্রেস এবং বিজেপি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনকে পাশে পেয়ে গোটা দেশে ধর্মঘট ‘সফল’ করার যে আশা বাম শ্রমিক নেতারা করেছিলেন, বাস্তবে তা ঘটেনি।
শ্রমিক সংগঠনগুলির অবশ্য দাবি, স্বাধীনতার পরে এই প্রথম তাদের ডাকে এত বড় ধর্মঘট হল। গোটা দেশের শিল্পক্ষেত্রেই ধর্মঘটের কমবেশি প্রভাব পড়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, কয়লা খনি ও বন্দরগুলিতে ধমর্ঘটের সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে। দেশ জুড়ে আয়কর দফতরগুলিতেও কোনও কাজ হয়নি। অসমের চা-বাগান বা উত্তরাখণ্ডের পর্যটনের মতো যে সব ক্ষেত্রে সাধারণত ধর্মঘটের প্রভাব পড়ে না, সেখানেও আজ ধর্মঘট হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও শ্রমিক সংগঠনগুলি ধর্মঘট প্রত্যাহার করেনি। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মল্লিকার্জুন খাড়্গের আবেদনেও কর্ণপাত করেনি তারা। খাড়্গের যুক্তি ছিল, এই ধর্মঘটের ফলে আর্থিক বৃদ্ধি ধাক্কা খাবে। বণিকসভাগুলিও আজ প্রশ্ন তুলেছে, এই ধর্মঘটের আর্থিক ক্ষতি ছাড়া শ্রমিক সংগঠনগুলির কী লাভ হল? আইএনটিইউসি-র জি সঞ্জীব রেড্ডি থেকে শুরু করে এআইটিইউসি-র গুরুদাস দাশগুপ্তদের যুক্তি, ‘সরকারের ঘুম ভাঙানোর জন্য’ এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। এতেও কোনও লাভ না হলে আগামী দিনে তাঁরা আরও বড় আন্দোলনের পথে যাবেন। তবে সরকার ডাকলে তাঁরা এখনও আলোচনায় বসতে রাজি বলে শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|