গুয়াহাটিতে গ্রেনেড হামলায় জখম ৪ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
কড়া পুলিশি প্রহরার মধ্যেই গুয়াহাটির জু রোডে আজ সন্ধ্যায় হানা দিল জঙ্গিরা। জঙ্গিদের এই গ্রেনেড হামলায় জখম হলেন চার ব্যক্তি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুটি গাড়ি ও একটি অটো। আজ সন্ধ্যা সওয়া ছ’টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। দীর্ঘদিনের ব্যবধানে গুয়াহাটিতে বিস্ফোরণ ঘটল। গত বছর ১৪ মার্চ কংগ্রেস সদর দফতর, রাজীব ভবনে শেষ বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছিল আলফা। এ বারেও ঘটনার পিছনে আলফার হাত রয়েছে বলেই পুলিশের সন্দেহ। |
এখানেই গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গুয়াহাটিতে। ছবি: উজ্জ্বল দেব |
আজ সন্ধ্যায় গণেশগুড়ি মোড় থেকে চিড়িয়াখানা যাওয়ার পথে, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের কাছেই গ্রেনেডটি ফাটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন্ধ থাকায় রাস্তা খালি থাকলেও মোড়ে মোড়ে ছিল পুলিশ পাহারা। যেখানে বিস্ফোরণটি ঘটে সেখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ট্রাফিক পোস্টও রয়েছে। ঘটনার সময় রাস্তার পাশে একটি গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল একটি অটো ও একটি গাড়ি। আচমকাই বিস্ফোরণের শব্দ হয়। স্প্লিন্টারের আঘাতে অটো চালক দেবেন ডেকা ও স্থানীয় তেলেভাজার দোকানি শঙ্কর কলিতা, ওষুধ সরবরাহকারী মনোজ কুমার ও পথচারী মন্টু রাজনাথ জখম হন। তাঁদের গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দেবেনবাবুর ডান পাঁজরে স্প্লিন্টার ঢুকেছে। তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রঙিয়া থেকে আসছিলেন লক্ষ্যজ্যোতি ঠাকুরিয়া ও তাঁর পরিবার। বিস্ফোরণের আঘাতে তাঁদের গাড়িটির জানলা ভেঙে ভিতরে ঢুকে আসে। তবে গাড়ির আরোহীরা অক্ষতই আছেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, একটি গাড়ি থেকে গ্রেনেডটি ছোড়া হয়েছিল। গ্রেনেড ছোড়ার কাজে বাইকের পরিবর্তে দামি গাড়ির ব্যবহারও আগে হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। |
|