নরওয়ের টেলিনরের পর এ বার ভারতে তাদের লগ্নির সুরক্ষা দাবি করল রাশিয়ার সিস্টেমা-ও। ৩ মন্ত্রককে দেওয়া চিঠিতে সংস্থা জানিয়েছে, এ নিয়ে ২৮ অগস্টের রফাসূত্র না-মিললে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আইনি পথে হাঁটতে বাধ্য হবে তারা।
ভারতে টেলি পরিষেবা দিতে শ্যাম গোষ্ঠীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে প্রায় ৩১০ কোটি ডলার লগ্নি করে সিস্টেমা। ‘এমটিএস’ ব্র্যান্ড নামে দেশে টেলি পরিষেবা শুরু করে সিস্টেমা শ্যাম টেলি সার্ভিসেস (এস এস টি এল)। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাদের ২১টি লাইসেন্স বাতিল হওয়ায় সমস্যায় পড়ে রুশ সংস্থাটি। আগামী ছ’মাসের মধ্যে ভারতে এই লগ্নির নিরাপত্তা দিতে ও লাইসেন্স নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে রফাসূত্রে পৌঁছতে মঙ্গলবার বিদেশ, তথ্য-যোগাযোগ ও অর্থ মন্ত্রককে আলাদা ভাবে আইনি চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাসেও চিঠি দিয়ে একই দাবি জানিয়েছে তারা। তবে তিন মন্ত্রককে লেখা চিঠিতে সংস্থা স্পষ্ট জানিয়েছে যে, ২৮ অগস্টের মধ্যে রফাসূত্র না মিললে, দ্বিপাক্ষিক লগ্নি চুক্তি ভঙ্গের দায়ে ভারতের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল আর্বিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে যাবে তারা।
পাশাপাশি, শীর্ষ আদালতের রায়ে দেশ জুড়ে তাদের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত ফিরে দেখার জন্যও হলফনামা দাখিল করার কথা ভাবছে সংস্থা। প্রসঙ্গত, সিস্টেমা টেলিতে রাশিয়া সরকারের অংশীদারি ১৭.১৪%। আর এসএসটিএল-এ শুধুমাত্র সিস্টেমার হাতেই ৫৬.৬৮% মালিকানা আছে।
সিস্টেমার দাবি, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে ১৯৯৬-এর দ্বিপাক্ষিক লগ্নি চুক্তি অনুযায়ী এ দেশে রুশ সংস্থার লগ্নিকে সুরক্ষা দিতে দায়বদ্ধ কেন্দ্র। কিন্তু টুজি নিয়ে রায়ে যথেষ্টই আতঙ্কে সংস্থা। তাই তাদের দাবি, এই লগ্নি যাতে লোকসানের খাতায় না যায়, সে দিকে নজর দিক ভারত সরকার।
এ দিকে, আজ বার্সেলোনায় টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী কপিল সিব্বলের সঙ্গে দেখা করেন টেলিনর সিইও জন ফ্রেডরিক বাকসাস। নরওয়ের টেলিনর ও ভারতের ইউনিটেকের যৌথ উদ্যোগ ইউনিনরের রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই একে অন্যের বিরুদ্ধে কোম্পানি ল বোর্ডে গিয়েছে দুই সংস্থা। |