টুকরো খবর
ঘরছাড়া তিন ‘ডাইন’ ঘরে
ডাইনি অপবাদে কেউ একবছর, কেউ ৬ মাস, কেউবা একমাস ধরে ঘরছাড়া। ওই ঘরছাড়া তিন আদিবাসী মহিলাকে ঘরে ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছিল পুলিশ। আর সেই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে রবিবার গ্রামের মাতব্বর নিয়ে হবিবপুর থানতে সালিশি সভা ডেকেছিল পুলিশ। দুই ঘণ্টা ধরে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে এক আদিবাসী মহিলাকে ঘরে ফেরাতে পারল পুলিশ। বাকি দুই মহিলাকে ঘরে ফেরাতে পারেনি তারা। হাবিবপুর থানার আইসি আত্রেয়ী সেন বলেন, “তিন অদিবাসী মহিলাকে গ্রামের মানুষ ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। আজকে এক মহিলাকে গ্রামে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুই মহিলাকে শীঘ্রই ফেরানো হবে।” আদিবাসী উন্নয়ন নাগরিক কমিটির জেলা সম্পাদক সালকু বাসকে বলেন, “হাবিবপুরে আদিবাসীদের কুসংস্কার থেকে মুক্ত করতে আমরা লাগাতার সচেতনতা শিবির করছি। ডাইনি হত্যা কমেছে।” মুরগিকান্দর গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী মিরু মার্ডিকে এক বছর আগে গ্রামের মাতব্বর ডাইনি চিহ্নিত করে। প্রাণ বাঁচাতে পাশের গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি। মীরুর স্বামী পান্ডু ১০ বছর আগে মারা গিয়েছেন। ২ বিঘা জমি ও ছেলে ফিলিপকে নিয়ে কোনও রকমে দিন কাটাতেন মিরু মার্ডি। দেড় বছর আগে প্রতিবেশী গুনুনড়িয়া মুর্মু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর পরিবারের লোকেরা বিহারে জানগুরুর কাছে গিয়েছিল। ওই জানগুরু মীরু মার্ডিকে ডাইন চিহ্নিত করে। তিন মাস আগে ডাইনি অপবাদে ঘরছাড়া হয়েছিলেন আকতৈল পঞ্চায়েতের পিয়ারকুড়ি গ্রামের মেনকা রবিদাস। অভিযোগ, স্বামী মারা যাওয়ার পর ছেলেই মাকে ডাইনি বলে খুন করতে চাইছে। তিন মাস ঘরছাডা মেনকা। হবিবপুরের বেলডাঙ্গা গ্রামের ৬২ বছরের ডুরকু বাসকেকে মাতব্বররা ডাইনি চিহ্নিত করে তাড়িয়ে দিয়েছিল। পুলিশ সালিশিসভায় গ্রামবাসীদের ডেকে ডুরকুকে তাঁদের হাতে দেওয়া হয়। নিজের বাড়িতে ফিরতে পেরে যারপরনাই খুশী ডুরকু বাসকে।

যুবকের দেহ উদ্ধার
যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার ভোর রাতে রায়গঞ্জ থানার উদয়পুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বাসিন্দারা মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম অলোক তাঁতিয়া (২৯)। বাড়ি ছত্রপুর এলাকায়। শুক্রবার কাজে বার হয়ে নিখোঁজ হয়ে যান অলোকবাবু। এদিন প্রশান্ত দেবনাথ নামে এক যুবকের বাড়ির সামনে থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে প্রশান্ত পলাতক।

স্থায়ী করার দাবি চাঁচলে
কেন্দ্রের পরিকাঠামো গঠন-সহ সান্মানিক বৃদ্ধি করে পার্শ্ব শিক্ষকদের মতোই চাকরিতে স্থায়ীকরণের দাবি তুলে সরব হয়েছেন মালদহের চাঁচল ও হরিশ্চন্দ্রপুরের বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্রের কর্মীরা। সমস্যা না মিটলে অনশনের হুমকি দিয়েছেন কেন্দ্রের কর্মীরা। ওই দাবি তুলে শনিবার চাঁচলের বিধায়ক ও রবিবার হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ককে ঘেরাও করে কর্মীরা বিক্ষোভও দেখান। তাঁদের দাবি মেনে বিষয়টি বিধানসভায় তোলা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন দুই বিধায়কই। চাঁচল ও হরিশ্চন্দ্রপুরে ১৬টি করে ৩২টি বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। কর্মীদের দাবি, ১৯৯৪ সাল থেকে তাঁরা বয়স্কদের শিক্ষা দিয়ে আসছেন। দু’হাজার টাকা সাম্মানিক হলেও নিয়মিত মেলে না। নিজস্ব পরিকাঠামো না থাকায় কেন্দ্রগুলি চলে পঞ্চায়েত দফতরে। সান্মানিক দেওয়া হয় প্রধানের মাধ্যমে। সামান্য টাকা পেতেও হয়রান হতে হচ্ছে।

দেহ উদ্ধার
দুষ্কৃতীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কুমেদপুর সংলগ্ন বিহার-ঘেঁষা বেতাহালে দেহটি পড়ে ছিল। হত শেখ আজাদ (৪০) বিহারের আজমনগর থানার দামোদরপুর এলাকার বাসিন্দা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.