ইউনিভার্সিটি কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থগিতাদেশের নির্দেশ জারি করায় পঠনপাঠন ও উন্নয়নমূলক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে ছাত্র পরিষদ। উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের তরফেও এই বিষয়ে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শত্রুঘ্ন সিংহ বলেন, “ছাত্র সংসদের নির্বাচনে স্থগিতাদেশ জারি হওয়ায় প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা করতে সত্যিই অসুবিধা হচ্ছে। পড়ুয়াদের সহযোগিতা চেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির আর্জি জানানো হয়েছে।” কলেজের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ দে সরকার বলেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি নিয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। টিচার্স কাউন্সিলের দুজন সদস্যকে নির্বাচন কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেজের উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানেই নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ছাত্র পরিষদ পরিচালিত বিদায়ী ছাত্র সংসদ ভেঙে দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই সময় নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। গত ৫ জানুয়ারি স্বচ্ছভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে কলেজের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপবাবুকে নিগ্রহ করার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ দিলীপবাবু ইস্তফা দিলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পান শত্রুঘ্নবাবু। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্র সংসদের নির্বাচনে স্থগিতাদেশ জারি করেন। ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, ছাত্র সংসদের নজরদারি না থাকায় শিক্ষকদের একাংশ নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন না। ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে বিপিএল তালিকাভুক্ত পড়ুয়াদের বেতনের ওপর হাফ ফি ও ফুল ফি’র সুবিধা দেওয়ার কাজ করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছাত্র সংসদ না থাকায় পড়ুয়ারা চলতি শিক্ষাবর্ষে সেই সুবিধা পাচ্ছেন না। কয়েক মাস আগে রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত কলেজে মঞ্চ নির্মানের জন্য বিধায়ক তহবিল থেকে ৫ লক্ষ টাকা দেন। ছাত্র সংসদের মতামত, পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে একটি কমিটি গঠণ করে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা। বিদায়ী ছাত্র সংসদের বৈধতা না থাকায় সেই নির্মাণ কাজ আটকে গিয়েছে। বিদায়ী ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক তথা ছাত্র পরিষদ নেতা প্রসেনজিত সাহা জানান, মার্চ মাসের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি না হলে কলেজ অচল করে আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। |