না-জানিয়েই ছুটিতে গেলেন চিকিৎসক, তদন্তে প্রশাসন |
বিধি মোতাবেক ছুটি না-নিয়েই স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছেড়ে কলকাতার বাড়িতে চলে যাওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্তে নামল মালদহ জেলা প্রশাসন। গত ২ নভেম্বর এক সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, কোনও চিকিৎসক কিংবা স্বাস্থ্যকর্তা ছুটি গেলে তাঁকে সংশ্লিষ্ট বিএমওএইচ, বিডিও কিংবা জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে হবে। অভিযুক্ত সুজাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বাড়িতে চলে গেলেও অনুমতি নেননি বলে অভিযোগ। শনিবার এলাকার নয়মৌজা সুভানিয়া হাউ মাদ্রাসায় মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত এক পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে সুজাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই চিকিৎসককে খবর পাঠানো হয়। তিনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই নেই জেনে নড়েচড়ে বসেন জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। মালদহের জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা বলেন, “মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার জন্য প্রতিটি ব্লকের বিডিওর মাধ্যমে বিএমওএইচদের ‘কুইক রেসপন্স টিম’ তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনও ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত ওই টিম সেই স্কুলে পৌঁছতে পারে। তার পরেও ওই চিকিৎসক আশিস ঘোষ কাউকে না জানিয়ে বাড়িতে চলে গিয়েছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছি। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অভিযুক্ত চিকিৎসক রবিবার কলকাতা থেকে টেলিফোনে বলেন, “আমি কলকাতায় বাড়িতে এসেছি তো কী হয়েছে? এভাবে তো সবাই বাড়িতে যান। আমিও এসেছি। ছুটি নিয়ে বাড়ি আসিনি। আমাদের চিকিৎসকদের যাঁদের কলকাতায় বাড়ি, সকলেই এভাবেই ম্যানেজ করে যাতায়াত করে। কালই সুজাপুরে ফিরে যাব।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন কুমার ঝড়িয়াত বলেন, “তদন্তের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কালিয়াচক ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক না-থাকায় ওই দিন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। আজ, সোমবার থেকে ওই পরীক্ষার্থী অবশ্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সিক বেডে শুয়ে পরীক্ষা দেবেন। কালিয়াচক-১ ব্লকের বিডিও তমোজিত চক্রবর্তী বলেন, “শনিবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখি দুজন চিকিৎসকের এক জন ডিউটিতে রয়েছেন। অন্য জনকে খুঁজে পাইনি। পরে জানতে পারি ওই চিকিৎসক ছুটি না নিয়ে দু’দিন আগে জেলার বাইরে চলে গিয়েছেন।” |