নবজাতক পরিষেবাকেন্দ্র চালু হল আসানসোল হাসপাতালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
আসানসোল মহকুমা হাসপাতালের অসুস্থ নবজাতকের পরিষেবা কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রবিবার ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইন ও বিচারমন্ত্রী তথা আসানসোল (উত্তর)-এর বিধায়ক মলয় ঘটক, মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা তন্ময় মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। ডিরেক্টর অব হেলথ্ সার্ভিস, বিশ্বরঞ্জন শতপথী বলেন, “পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া শেষ হতে ৭ দিন সময় লাগবে। ওই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই কেন্দ্রটি চালু হবে।” বর্ধমানের জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা জানান, দু’মাসের মধ্যে দুর্গাপুরে একটি অসুস্থ নবজাতক পরিষেবা কেন্দ্র এবং ১৫ মার্চের মধ্যে কালনায় ‘সিক্ নিওনেটাল ইউনিট’ চালু হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এ দিন হাসপাতালের সুপার সহ অন্যান্য চিকিৎসকদের একটি আলোচনা হয়। সেখানে মন্ত্রীর কাছে শূন্যপদে ৬৮ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী, ১৭ জন সাফাই কর্মী, ১ জন অর্থোপেডিক চিকিৎসক এবং সাধারণ শিশু বিভাগের জন্য ১ জন শিশু চিকিৎসকের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান হাসপাতাল সুপার নিখিলচন্দ্র দাস। পুরনো কিছু যন্ত্রপাতির পরিবর্তে নতুন যন্ত্রের জন্যও আবেদন জানান তিনি। |
সুপার জানান, ওই কেন্দ্রে তিনটি ঘর রয়েছে, প্রথম দুটি ঘর এসএনসিইউ (সিক্ নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট) ১ ও ২ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে সদ্যজাত অসুস্থ শিশুকে ভর্তি করা হবে। একটু সুস্থ হলে তৃতীয় ঘরটিতে ‘স্টেপ ডাউন’ হিসেবে রাখা হবে। ওই কেন্দ্রে ৭ জন চিকিৎসক, ১০ জন নার্স (ইতিমধ্যে ৭ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে), ৬ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী এবং ৬ জন সহায়িকা কাজ করবেন। কেন্দ্রটি নির্মাণে এখনও পর্যন্ত ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার।
প্রতিমন্ত্রী এ দিন বলেন, “৩৪ বছরে রাজ্যে এই কেন্দ্র ছিল ৬টি। সেটা বেড়ে ১৯ হল। মার্চ মাসের মধ্যে এই সংখ্যা ২৬ হবে। এই বছরে আমাদের লক্ষ্য ৪০টি কেন্দ্র।” তিনি আরও জানান, রাজ্যে ৭টি ‘স্বাস্থ্য জেলা’ গঠন করা হবে। আসানসোল তার মধ্যে অন্যতম। জেলা হাসপাতাল হিসেবে কাগজে কলমে পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই কারণে আসানসোলে পরিকাঠামোগত কারণেই চিকিৎসক ও শয্যসংখ্যা বাড়ানো হবে। তিনি বলেন। “অহেতুক আমাদের সমালোচনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে শিশুমৃত্যুর হার ২ শতাংশ কমেছে।”
এ দিন আসানসোল হোমিওপ্যাথি কলেজ ও হাসপাতালেও গিয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক মলয় ঘটক। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে মলয়বাবুর কাছে একটি দাবিপত্র দেন পড়ুয়ারা। সংগঠনের নেতা মোহন সিংহ জানান, চার বছরের বেশি সময় ধরে হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও আন্ত:বিভাগ খোলে না। ওষুধও অমিল। কলেজে ৪২ জন শিক্ষকের মধ্যে অধিকাংশই নিয়মিত আসে না। ক্লাস প্রায় প্রতিদিনই বন্ধ থাকে। গতবছর ৩০ নভেম্বর অধ্যক্ষের অবসর হয়ে গেলেও তাঁকে আবার পুনর্নিয়োগ করা হয়েছে। ২৯ ফেব্রুয়ারির পরে ওই অধ্যক্ষকে আর কলেজে বসতে দেবে না বলেও মন্ত্রীকে জানায় সংগঠন। মলয় ঘটক বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |