এ বার সেচ দফতরে ‘দ্বন্দ্ব’ মানস-শ্যামলের
শ্রম দফতরের পরে এ বার সেচ দফতর। সরকারি বৈঠকে আমন্ত্রণ না-পেয়ে এ বার দফতরের পূর্ণ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী।
কাজের খতিয়ান চেয়ে সেচ দফতরের বিভিন্ন জেলার সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারদের রবিবার সল্টলেকের জলসম্পদ ভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন সেচমন্ত্রী, কংগ্রেসের মানস ভুঁইয়া। কিন্তু সেই বৈঠকে ‘সরকারি’ ভাবে তাঁকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ তাঁরই দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী, তৃণমূলের শ্যামল মণ্ডলের।
শ্যামলবাবু এ দিন বলেন, “শনিবার মানস’দা আমায় মৌখিক ভাবে এক বার ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু আমায় সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে পরের কোনও বৈঠকে অবশ্যই আমি থাকব।” তাঁরা যে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চান, তার ইঙ্গিত ধরা পড়েছে মানসবাবুর কথায়। তাঁর বক্তব্য, “রবিবার বৈঠক হওয়ায় শ্যামলের সঙ্গে আমার দফতরের পক্ষ থেকে ঠিকমতো যোগাযোগ করে ওঠা যায়নি। তাই এই ভুল। আমি শ্যামলকে মুখে বলেছিলাম আজকের বৈঠকে থাকার জন্য। আমি ওঁর সঙ্গে কথাও বলে নিয়েছি। আমরা একসঙ্গেই কাজ করি।”
শনিবারই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শ্রম দফতর আয়োজিত অসংগঠিত শ্রমিকদের সমাবেশ এবং নথিভুক্ত ঠিকা শ্রমিকদের সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন না-পেয়ে ওই দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা মালদহের মুথাবাড়ির কংগ্রেস বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানান দফতরের পূর্ণমন্ত্রী, তৃণমূলের পূর্ণেন্দু বসুর বিরুদ্ধে। সেচ দফতরেও এ দিন পূর্ণ ও প্রতিমন্ত্রীর ‘দূরত্ব’ ধরা পড়ল।
তবে প্রশাসনের একাংশের মতে, বেশির ভাগ প্রতিমন্ত্রীই দফতরের ‘শোভাবর্ধক ফুলদানি’র মতো। ‘রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা’ থেকেই এই ধরনের প্রতিমন্ত্রীর পদ রাখা হয়। তাই কার্যক্ষেত্রে ‘গুরুত্ব’ নিয়ে তাঁদের অভিযোগ থেকেই থাকে।
ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে এ দিন বৈঠক শুরুর আগে সেচমন্ত্রী মানসবাবু অভিযোগের সুরে বলেন, “জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা আইনের অধীনে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা এসে পড়ে রয়েছে। সেচ দফতর বিভিন্ন জেলায় ১৫৮ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার বিভিন্ন কাজের প্রকল্প জমা দিয়ে বসে রয়েছে। অথচ মাত্র ৫২ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে এ পর্যন্ত। আমরা পঞ্চায়েতের সঙ্গে যৌথ ভাবে অনেক কাজ করতে চাইছি। জেলা শাসকেরা প্রকল্পের অনুমোদন না-দেওয়ায় বর্ষার আগে অনেক কাজই করা যাচ্ছে না।” প্রসঙ্গত, জেলা শাসকেরা স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে। যেটি রয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। সরকারি কাজে গতি আনতে মুখ্যমন্ত্রী সব সময়ই ‘সচেষ্ট’। জেলা সফরগুলিতে গিয়ে তিনি সব সময়েই জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে কাজে গতি আনার উপরেই জোর দিয়ে থাকেন। সেই প্রেক্ষিতে মানসবাবুর অভিযোগ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। মানসবাবুর ওই বক্তব্যের বিরোধিতা করে শ্যামলবাবু পরে বলেন, “শুধু একটি প্রকল্পের কথা উনি কেন বলছেন, জানি না! আর কোনও প্রকল্পের টাকা নেই নাকি? সেই সব কাজ কবে হবে? আসলে সেচ দফতরে খুব ধীরে কাজ হচ্ছে। দফতরের কাজের গুণগত মান বাড়াতে হবে।” তাঁর আরও মন্তব্য, “সেচ দফতর অনেক কঠিন দফতর। মানসবাবুকে আরও তৎপর হতে হবে। উনি আরও একটি দফতরের মন্ত্রী। আমি চাইব, উনি আমাকেও কাজে লাগান। আমি কাজের লোক!”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.