মাওবাদীদের হাতে নিহত পুলিশ আধিকারিকের স্মৃতির উদ্দেশ্যে দৌড় প্রতিযোগিতা হল। সারেঙ্গা থানার নিহত আইসি রবিলোচন মিত্র স্মৃতি দৌড় প্রতিযোগিতা হল শনিবার। ওই দিন সকালে সিমলাপাল থেকে সারেঙ্গার পিড়রগাড়ি মোড় পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার মিনি ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতাটি হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন ফুলকুসমার মহেন্দ্র সরেন। সারেঙ্গার নির্মল মাহাতো দ্বিতীয় এবং রানিবাঁধের দীনবন্ধু বেসরা তৃতীয় হয়েছেন।
মহিলাদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন ছাতনার শীতলা হেমব্রম। এ ছাড়াও খুদে প্রতিযোগী সারেঙ্গার মহাদেব দুলে, সিমলাপালের বুরুবীর হেমব্রম, সারেঙ্গার শ্রীমন্ত দুলে, মুস্তাক খান, ঝাড়গ্রামের সান্ত্বনা নামাতাকে বিশেষ ভাবে পুরস্কৃত করা হয়। প্রতিযোগিতার পরে এক অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন নিহত আইসি-র স্ত্রী সুদীপ্তা মিত্র, পুত্র রণবীর মিত্র, জেলার পুলিশ সুপার প্রণব কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রজা, এসডিপিও (খাতড়া) নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী-সহ পুলিশ আধিকারিকরা। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে সারেঙ্গার গোবিন্দপুর মোড়ে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন। গত বছর থেকে জেলা পুলিশের উদ্যোগে তাঁর স্মৃতিতে দৌড় প্রতিযোগিতা হচ্ছে।
|
পুরুলিয়া-কলকাতা রুটের দু’টি বাস থেকে কয়েক কুইন্টাল তামার তার-সহ বেশ কয়েকটি লোহার পাইপ উদ্ধার করল বাঁকুড়ার ওন্দা থানার পুলিশ। ওই ঘটনায় দু’টি বাসের মোট সাত জন কর্মীকে আটক করা হয়েছে। রবিবার সকালে ওন্দা থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ এ দিন পুরুলিয়া-কলকাতাগামী একটি বাসকে আটক করে তল্লাশি চালায়। তখন ওই বাস থেকে কয়েক কুইন্টাল তার ও বেশ কয়েকটি লোহার পাইপ উদ্ধার হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ফের খবর আসে, পুরুলিয়া থেকে কলকাতাগামী অন্য একটি বাস ওন্দা থানা এলাকার কিছুটা আগে পুরুলিয়াগামী একটি বাসে লোহার যত্রাংশ তুলে দিচ্ছে। ধাওয়া করে বাঁকুড়া স্টেশন এলাকায় পুরুলিয়াগামী ওই বাসকে ধরে ফেলে পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার হয় লোহার পাইপ। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ প্রথমে অনুমান করেছিল, যত্রাংশ ও তারগুলি রেলের। সেই মতো রেলের কাছে খবর পাঠানো হয়। পরে রেলপুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী রেলের নয়। পুলিশের অনুমান, উদ্ধার হওয়া সামগ্রীগুলি কলকাতায় বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বাস দু’টিকেও আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “এই ঘটনায় বড় কোনও চক্র জড়িত আছে কি না তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
|
মোটরবাইকের সঙ্গে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম কার্তিক সাধু (৩০)। বাড়ি বড়জোড়া থানা এলাকার কাদাশোলে। এই দুর্ঘটনায় লরির চালক ও খালাসি জখম হয়েছেন। তাঁদের বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ লরিটি আটক করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে মোটরবাইকে করে কার্তিকবাবু বড়জোড়া-মালিয়াড়া রাস্তা দিয়ে মালিয়াড়া যাচ্ছিলেন। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা হয়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় কার্তিকবাবুর। দুর্ঘটনার জেরে লরিটি উল্টে গেলে গুরুতর জখম হন লরি চালক ও খালাসি। ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ দেহটি হাসপাতালে পাঠিয়েছে। |