|
|
|
|
চন্দ্রিতে মিছিল সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর এই প্রথম এক সময়ের ‘লালদুর্গ’ ঝাড়গ্রামের চন্দ্রি অঞ্চলে বড়সড় মিছিল করল সিপিএম। আগামী মঙ্গলবার দেশজুড়ে ডাকা ধর্মঘটের সমর্থনের পাশাপাশি, এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, গরিব মানুষের কর্মসংস্থান ও তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ওই মিছিলের আয়োজন করা হয়। মাওবাদীদের হাতে নিহত ও অপহৃত স্থানীয় সিপিএম নেতা-কর্মীদের পরিজনেরাও রবিবারের এই মিছিলে হাঁটেন। |
 |
ধর্মঘটের সমর্থনে চন্দ্রিতে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ স্থানীয় নেতা দলের আগুইবনি লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রশান্ত দাস। এ ছাড়াও ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ডহরেশ্বর সেন, ঝাড়গ্রাম (গ্রামীণ) জোনাল সম্পাদক রবি সরকার প্রমুখ। সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ চন্দ্রির মরাইখুঁটি থেকে হাজার পাঁচেক লোক নিয়ে মিছিলটি শুরু হয়। এরপর বিড়া-নয়াগ্রাম, কুমারডুবা, চন্দ্রি, খাসজঙ্গল, তালবেতাল ও আলকুশিয়ার মত গ্রামগুলি পরিক্রমা করে দুপুর দেড়টা নাগাদ আউশপালে মিছিলটি শেষ হয়। এই আউশপাল গ্রামেই প্রশান্তবাবুর পৈতৃকবাড়ি। প্রশান্তবাবু বলেন, “তৃণমূলের সরকার সম্পর্কে গরিব মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে। এলাকার মানুষ চেয়েছেন বলেই আমরা ফের চন্দ্রির মাটিতে রাজনৈতিক কার্যকলাপ শুরু করতে পেরেছি।” বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রশান্তবাবুর বাড়িতে ‘সশস্ত্র শিবির’ চালানোর অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। নির্বাচনের পরে গ্রামছাড়া হন প্রশান্তবাবু। চন্দ্রি অঞ্চলে সিপিএমের প্রভাব কার্যত খর্ব হয়েছে বলে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়। পাটাশিমুলের এক তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রশান্তবাবুকে গত বছর সেপ্টেম্বরে ঝাড়গ্রামের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে দু’মাসের মাথায় গত নভেম্বরে জেলা আদালত থেকে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি পান তিনি।
মাস খানেক ধরে চন্দ্রি অঞ্চলে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে একাধিক সর্ংঘষের ঘটনা ঘটেছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে আউশপাল গ্রামের একটি দিঘিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তাতে সিপিএমের কয়েকজন জখম হন। ওই ঘটনার জেরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আউশপালে তৃণমূলের পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে প্রশান্তবাবুর বাড়ি লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের চন্দ্রি অঞ্চল সভাপতি বাপি সাউ বলেন, “এলাকায় ফের সন্ত্রাস-রাজ কায়েম করার জন্যই মানুষজনকে ভুল বুঝিয়ে মিছিল করেছে সিপিএম।” |
|
|
 |
|
|