রোগশয্যা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে লেসলি ক্লডিয়াসের মনে হচ্ছে, ভারতীয় হকির পুনর্জন্ম দেখছেন। বাড়িতে টিভিতে খেলা দেখে তাঁর মুখে ভুয়সী প্রশংসা হরিয়ানার শাহবাদের ছেলে সন্দীপ সিংহের। “ও তো একাই ভারতকে কাঁধে তুলে নিয়েছিল। খুবই ভাল লাগছে আবার অলিম্পিকে ভারতকে দেখে।” তিনটি অলিম্পিক সোনা, একটি রুপোর মালিক বললেন।
কলকাতার আর এক হকি অলিম্পিয়ান গুরবক্স সিংহ তখন দিল্লির মাঠে। “আবার অলিম্পিক খেলতে যাবে ভারত, ভাবতেই দারুণ লাগছে।” তাঁর মুখে দুই সিংহের প্রশংসা। সন্দীপ ও সর্দার সিংহ। “সন্দীপ তো দারুণ খেলেছেই। কিন্তু সর্দারও দারুণ। পুরো টুর্নামেন্টে সর্দার দারুণ ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে।” বললেন গুরবক্স।
|
শহরের শেষতম হকি অলিম্পিয়ান বলজিৎ সিংহ সাইনি আবার খেলাটা দেখলেন জলন্ধরে বসে। নবস আসার পরে প্রথম তিন মাস তিনি ছিলেন তাঁর সহকারী। বলজিৎ ফোনে বলছিলেন, “সন্দীপ এখন বিশ্বের অন্যতম নয়, একেবারে সেরা ড্র্যাগ ফ্লিকার। ও পেনাল্টি কর্নার নেওয়া মানে পেনাল্টি স্ট্রোক নেওয়ার ব্যাপার। সেরাদের তালিকায় নেদারল্যান্ডসের কেউ থাকবে ওর পরে। সন্দীপ মাঝে হল্যান্ডে ট্রেনিং নিতে গেছিল। এখন জাতীয় দলে যুগরাজ সিংহের কাছে ট্রেনিং নেয়। এটাই ওর সাফল্যের রহস্য।”
দিল্লির সাফল্য কি লন্ডনে দেখা যেতে পারে? ক্লডিয়াসের জবাব, “এখানে একটু সহজ দল ছিল প্রতিপক্ষে। ওখানে কঠিন লড়াই হবে।” তাঁর মুখে কোচ নবসের প্রশংসা, “উনি এসে দলটাকে বদলে দিয়েছেন।” গুরবক্স খেলা দেখতে দেখতেই বলছিলেন, “আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত লন্ডনে সেমিফাইনাল খেলা।” নবসের আক্রমণাত্মক খেলার স্টাইল ভাল লেগেছে গুরবক্সেরও। “ওকে বাড়তি কৃতিত্ব দিতেই হবে।” বলজিৎ কিন্তু বলে দিলেন, “নবস দারুণ ভাল কোচ। তবে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে কিন্তু এই স্ট্র্যাটেজি পাল্টাতে হবে আমাদের।” |