|
|
|
|
পাকা সেতুর দাবি রাইপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এক দিকে ডেবরা, অন্য দিকে কেশপুর। মাঝে বয়ে গিয়েছে কাঁসাই নদী। রাইপুর ঘাটে নদীর উপর বাঁশের সেতু রয়েছে। সেই বাঁশের সেতু দিয়ে শুধু সাইকেল-মোটরবাইক নয়, গাড়িও চলাচল করে। এখানেই পাকা সেতুর দাবি দীর্ঘ দিনের। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, দু’পারে সপ্তাহে দু’দিন করে হাট বসে। বহু মানুষ পারাপার করেন। কিন্তু পাকা সেতু না থাকায় সমস্যায় পড়েন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বার বার আবেদন জানিয়েও কাজ হয়নি। স্থানীয় মানুষের দাবি ‘যুক্তিসঙ্গত’ বলেই মনে করেন কেশপুরের বিধায়ক রামেশ্বর দোলুইও। তাঁর কথায়, “ওখানে পাকা সেতুর প্রয়োজন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলেরই উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।” |
 |
কেশপুর-ডেবরা সংযোগকারী এলাকায় একাধিক বাঁশের সেতু রয়েছে। কিন্তু, একটিও পাকা সেতু নয়। রাইপুর ঘাটের এক দিকে ডেবরার পাটনা এলাকা। অদূরেই আকালপৌষ-সহ বসতি এলাকা। পাটনায় মঙ্গল ও শনিসপ্তাহে এই দু’দিন হাট বসে। অন্য দিকে, রাইপুর সংলগ্ন সিংঙ্ঘাহাইতে সোম ও শুক্রবার হাট বসে। কেশপুরের অনেকে বাঁশের সেতু পেরিয়েই ডেবরায় যান। ডেবরা হয়েই আবার চলে গিয়েছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। ফলে, জাতীয় সড়কে গিয়ে বাস ধরার জন্যও এই পথ ব্যবহার করেন অনেকে। কেশপুরের বাসিন্দা অঞ্জলি মাইতির কথায়, “এখানে পাকা সেতু তৈরি হলে সবারই ভাল। ভারী যানবাহনও চলাচল করতে পারে। ডেবরা থেকে বহু মানুষ যেমন নানা কাজে এখানে আসেন। তেমন এখান থেকেও বহু মানুষ নদী পেরিয়ে ও-দিকে যান। কিন্তু পাকা সেতু তৈরির জন্য কেউ উদ্যোগী হয়নি আজও।” গ্রামবাসীদের বক্তব্য, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে যেমন জানানো হয়েছে, তেমনই জনপ্রতিনিধিদের কাছেও আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু, কেউই কোনও পদক্ষেপ করেননি। গোপীনাথপুরে বাড়ি লক্ষ্মণ দোলুইয়ের। প্রাক্তন উপপ্রধান লক্ষ্মণবাবু বলেন, “রাইপুরে পাকা সেতু তৈরি করতে এ বার সংশ্লিষ্ট সকলেরই পদক্ষেপ করা উচিত। নদীর দু’দিকেই হাট বসে। সেতু দিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ যাতায়াত করেন। পাকা সেতু তৈরি হলে সবাই উপকৃত হবেন।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “কাঁসাইয়ের উপরে কেশপুর-ডেবরার মাঝে অন্তত একটি পাকা সেতু খুবই দরকার। কিন্তু সাধ থাকলেও আমাদের সাধ্য নেই। অর্থের সঙ্কট। বিভিন্ন সূত্রে আর্থিক সহায়তা পাওয়া গেলে অবশ্যই পাকা সেতুর তৈরির লক্ষ্যে উদ্যোগ শুরু হবে।” |
|
|
 |
|
|