স্বাভাবিকের পথে সালুয়া, ক্যাম্প সরানোর দাবি
শুক্রবার রাতের পর নতুন করে আর কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি সালুয়ায়। চাপা উদ্বেগ থাকলেও রবিবার দিনভর খড়্গপুরের এই এলাকা স্বাভাবিকই ছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি জানান, সালুয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। নতুন করে কোনও অশান্তির খবর নেই। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতের ঘটনাকে একটি ‘বিচ্ছিন্ন’ ঘটনা হিসাবেই দেখা হচ্ছে। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্যারাকে হামলার ঘটনার পর থেকেই উদ্বেগে রয়েছেন সিআইএফের (কাউন্টার ইনসার্জেন্সি ফোর্স) জওয়ানরা। ইতিমধ্যে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সেই উদ্বেগ কাটানোর চেষ্টা করেছেন ওই বাহিনীর আইজি সিদ্ধিনাথ গুপ্ত। তিনি যাবতীয় নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু, সেই আশ্বাসেও যে উদ্বেগ কাটেনি, তা এক জওয়ানের কথাতেই পরিষ্কার। রবিবার ওই জওয়ান বলেন, “যে ভাবে ব্যারাকে এসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন হওয়াই স্বাভাবিক। আমরা চাইছি, অন্যত্র ক্যাম্প হোক। যদি জঙ্গলমহল এলাকাতেও ক্যাম্প করে আমাদের রাখা হয় আপত্তি নেই।”
সালুয়ার ঘটনার পর থেকেই সিআইএফ জওয়ানদের একাংশ ক্যাম্প স্থানান্তরের দাবি তুলতে শুরু করেছেন। যদিও এই দাবির প্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলা পুলিশ সুপার। শিলদা ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলার পর উত্তেজনা ছড়িয়েছিল সালুয়ায়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন ইএফআর পরিবারের লোকজন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এখানে এসে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী। মূলত, নিরাপত্তার দাবি তুলেই সেই সময় সোচ্চার হয়েছিল সালুয়া। শুক্রবার রাতের ঘটনার পর ওই একই দাবি উঠেছে। শিবরাত্রি উপলক্ষে এখানে এক মেলায় আয়োজন হয়। সেই মেলার মাঠেই ওই রাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে সিআইএফ ও ইএফআর (ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেল)। সামান্য ঘটনা যে পরে এত বড় চেহারা নেবে, তা ভাবতে পারেননি অনেকেই। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার সালুয়ায় আসেন সিআইএফের আইজি। পুলিশ-কর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। পরে কথা বলেন সিআইএফ জওয়ানদের সঙ্গেও। নিরাপত্তার আশ্বাস দেন। বছর দেড়েক আগে এখানে সিআইএফের ‘অস্থায়ী’ ক্যাম্প তৈরি হয়। দু’টি ব্যারাকে সব মিলিয়ে প্রায় দেড়শো জন জওয়ান থাকেন। সংঘর্ষের ঘটনার পর অবশ্য এই ব্যারাকের সামনে সেন্ট্রির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। রবিবার থেকেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে সালুয়া। এ দিন এলাকার সব দোকানপাট খোলা ছিল। সিআইএফের অন্দরে ক্যাম্প সরানোর যে দাবি উঠেছে সে প্রসঙ্গে এক পুলিশ কর্তা বলেন, “এই সিদ্ধান্ত কেউ একা নিতে পারেন না। পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.