ফরাক্কার ভাঙা গেট সারানোর প্রতিশ্রুতি
ঙ্গার উপরে ফরাক্কা বাঁধের যে দু’টি ভাঙা গেট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেগুলি তাড়াতাড়ি সারিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় জল কমিশন। ব্যারাজের অবস্থা খতিয়ে দেখতে রবিবার সকালে সেখানে যান
কেন্দ্রীয় জল কমিশনের চেয়ারম্যান আর সি ঝা। ওই ব্যারাজের ১৩ এবং ১৬ নম্বর স্লুইসগেট দু’টি ভেঙে গিয়েছে। ১৩ নম্বরটি গেটটি গত ২৩ জুন থেকে এবং ১৬ নম্বর গেটটি ৯ ডিসেম্বর থেকে ভেঙে পড়ে রয়েছে। আর সি ঝা বলেন, “১৬ নম্বর গেটটি দু’চার দিনেই সারানো হয়ে যাবে। ১৩ নম্বর গেটটি অবশ্য সারাতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।”
ওই দু’টি গেট দিয়ে বাংলাদেশের দিকে অনেক বেশি জল বেরিয়ে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকেও তিনি চিঠি লিখে সেই উদ্বেগের কথা জানান। তারপরে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যারাজের অবস্থা দেখতে এসেছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। তিনি তখন বলেছিলেন, ১৬ নম্বর গেটটি ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সারানো হয়ে যাবে বলে ফরাক্কা কর্তৃপক্ষ তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা হয়নি। মণীশবাবু জানিয়েছিলেন, ওই দু’টি গেট দিয়ে জল বেরিয়ে যাওয়ায় তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আর সি ঝা অবশ্য এই দিন ব্যারাজের অবস্থা দেখে বলেন, “ফিডার ক্যানেলে এখন যা জল রয়েছে, তাতে সেচের জলে টান পড়ার বা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা নেই।”
তবে এই দিনই রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া কলকাতার সল্টলেকে জলসম্পদ ভবনে সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে এক বৈঠকের আগে জানান, আর সি ঝা রবিবার সকালে সেচ সচিব অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে জানিয়েছেন যে, গেট সারানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানসবাবু এই দিন ফরাক্কা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষের জেনারেল ম্যানেজারের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.