১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মজুরি নিয়ে একটি রায় দিয়েছিল কর্নাটক হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে সেই নির্দেশের বিরোধিতা করা নিয়ে মতবিরোধ হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশের। তথ্যের অধিকার আইনে আবেদন করে কিছু নথি হাতে পেয়েছেন সমাজকর্মী সুভাষ অগ্রবাল। তা থেকে এ কথা জানা গিয়েছে।
বিটি বেগুন নিয়ে পরস্পর বিরোধী কথা বলে ইতিমধ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছেন মনমোহন ও রমেশ। ১০০ দিনের কাজের মজুরি নিয়েও মতপার্থক্য প্রকাশ্যে আসায় ইউপিএ সরকার অস্বস্তিতে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। মজুরি নিয়ে অবশ্য শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর মতই মেনে নেন রমেশ।
১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের কর্মীরা বছরে ১০০ দিন কাজের সুযোগ পান। তাঁদের প্রত্যেককে দিন প্রতি ১০০ টাকা মজুরি দেওয়ার কথা। গত ২৩ সেপ্টেম্বর একটি রায়ে কর্নাটক হাইকোর্ট বলে, কোনও এলাকার কৃষিশ্রমিকদের মজুরির উপরে ভিত্তি করে সেই এলাকায় ১০০ দিনের কাজের মজুরি স্থির করতে হবে। এই নিয়ে অন্ধ্র হাইকোর্টেও মামলা চলছিল। তাতেও একই ধরনের রায় হতে পারে বলে অনুমান করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর উপদেষ্টারা। ফলে, কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ অনুমতির আবেদন করার নির্দেশ দেন মনমোহন।
এই নির্দেশের বিরোধিতা করেন রমেশ। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা একটি চিঠিতে তিনি জানান, এই রায় খারিজ হওয়ার সম্ভাবনা কম। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি আইন মেনে টাকা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান সনিয়া গাঁধী। চিঠিতে সে কথাও উল্লেখ করেছিলেন রমেশ। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প ও মজুরি আইন সংশোধন করে মজুরির হারে ভারসাম্য আনার পরামর্শ দেন তিনি।
কিন্তু, রমেশের মত মানতে রাজি হননি মনমোহন। ফলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত। |