বিশ্বমানের অঙ্ক পরীক্ষায় প্রথম স্থান দখল করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করল সিউড়ির একটি বেসরকারি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। অগ্নিপ্রভ দেবাংশী নামের ওই ছাত্রের বাড়ি সাঁইথিয়ার রুদ্রনগরের তালতলায়। ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড ম্যাথামেটিক্স (আইওএম) প্রতিযোগিতায় সে ১০০ নম্বরের মধ্যে ১০০-ই পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পড়ুয়াদের সঙ্গে সে এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল।
অগ্নিপ্রভ’র পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তার এই সাফল্যের পিছনে যাঁর অবদান সব থেকে বেশি- তিনি অগ্নিপ্রভ’র মা কেয়াদেবী। ছেলের সাফল্য নিয়ে তিনি অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অগ্নিপ্রভ’র দাদু সাঁইথিয়া নেতাজি পল্লীর বাসিন্দা সুশীল দাস বলেন, “অগ্নিপ্রভ’র অঙ্কের উপর ঝোঁক বেশি। একা-একাই অঙ্ক নিয়ে খেলা
করে। ভীষণ ছটফটে স্বভাবের অগ্নিপ্রভ স্কুলেও বরাবর প্রথম হয়। গল্পের বই পড়তে এবং ক্রিকেট খেলতে ভালবাসে। তার প্রিয় ক্রিকেটার ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি।” তিনি জানান, তার এই সাফল্যের পিছনে বাবা-মা’র সঙ্গে একটি অঙ্ক প্রশিক্ষণ সংস্থার প্রশিক্ষকদেরও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে ইন্টারনেটে আইওএম-র ওই প্রতিযোগিতার খবর জানা যায়। তারপর আইএমও মনোনীত সিলভার জোন ম্যাথামেটিক্স অলিম্পিক ফাইন্ডেশনের-এর সঙ্গে যোগাযোগ হয়। এর পরে পরীক্ষা। ১০ ফেব্রুয়ারি ইন্টারনেটে রেজাল্ট দেখে এই সাফল্যের কথা জানা যায়। অগ্নিপ্রভর সাফল্যে গর্বিত গোটা পরিবার। আওএম থেকে তাকে একটি সোনার মেডেলও দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
সিলভার জোন সংস্থার রাজ্য কো-অর্ডিনেটর দীপগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “অগ্নিপ্রভ অঙ্কে ১০০ পেয়ে রীতিমত ঝড় তুলে দিয়েছে। এ বছর ওই পরীক্ষায় প্রথমশ্রেণির দু’জন প্রথম হয়েছে। দু’জনেই ঘটনাচক্রে ভারতের। একজন অগ্নিপ্রভ, অন্যজন গ্বালিয়রের বাসিন্দা। ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া মিলিয়ে বিশ্বের মোট ১৫টি দেশের পরীক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল। গত বছর সিউড়ির ৩৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৯ জন পরবর্তী রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয়। তাদের মধ্যে ৫ জন প্রথম দশের মধ্যে ‘র্যাঙ্ক’ও করেছে।”
|