মাওবাদী অধ্যুষিত জেলাগুলিতে ৮৫টি ‘বিশেষ’ থানা হতে চলেছে বিহারে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার এই থানা তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ১৩৬ কোটি টাকা দেবে। বাকি ৩৪ কোটি দেবে রাজ্য সরকার।
বিহারের পুলিশ ভবন নির্মাণ নিগমের ডিজি অশোককুমার গুপ্ত শনিবার বলেন “কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার জন্য ৪০০টি বিশেষ থানার অনুমোদন দিয়েছে। তার মধ্যে বিহারে ৮৫টি থানার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। যদিও বিহার সরকার কেন্দ্রের কাছে এই ধরনের ১০০টি থানার অনুমোদন চেয়েছিল। কিন্তু মিলেছে ৮৫টি থানার অনুমোদন।” প্রসঙ্গত, বিহারের ৩৭৪টি থানা মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার মধ্যে।
বিহারে ৪০টি পুলিশ জেলার মধ্যে ৩০টি মাওবাদী অধ্যুষিত। ডিজি জানিয়েছেন, “আগামী দু’বছরের মধ্যে এই থানা তৈরির কাজ শেষ করা হবে। মাওবাদীদের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষ্য করার ব্যবস্থা থাকবে এই বিশেষ থানাগুলিতে।” প্রতিটি থানার জন্য ২ কোটি টাকা খরচ হবে বলে ডিজি জানান। তিনি বলেন, “প্রতিটির জন্য কেন্দ্র দেবে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা এবং রাজ্য ৪০ লক্ষ টাকা দেবে।” এই থানাগুলিতে বিশেষ ব্যবস্থা কী থাকবে তা জানিয়ে তিনি বলেন, থানার উপরে নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হবে। বিশেষ পুলিশি পাহারারও ব্যবস্থা থাকবে থানা চত্ত্বরে। বিহারে বিদ্যুতের হাল খারাপ বলে থানাগুলিতে ২৪ ঘণ্টা জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এছাড়াও ইনভার্টার এবং সোলার আলোর ব্যবস্থা করা হবে। থানার গাড়ি রাখার জন্য বিশেষ একটি জায়গা তৈরি করা হবে। যাতে অতর্কিতে আক্রমণের ফলে থানার গাড়িগুলিকে রক্ষা করা যায়। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্রতিটি থানাতে উন্নত মানের প্রযুক্তি নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
কয়েকদিন আগে গয়ায় মাওবাদীদের একটি দল থানা আক্রমণ করে। অর্তকিতে ওই আক্রমণে হকচকিয়ে গেলেও পুলিশ শেষ পর্যন্ত গভীর রাত পর্যন্ত লড়াই করে মাওবাদীদের পিছু হটতে বাধ্য করে। এই ঘটনায় এক মাওবাদী জঙ্গির মৃত্যুও হয়। পুলিশের এক কর্তা বলেন, “বিহারে থানা আক্রমণের ঘটনা ঘটে। তাই থানাকে রক্ষা করতে সবরকম ব্যবস্থার চেষ্টা হবে।” |