|
|
|
|
ফড়ে রোখাই লক্ষ্য |
 |
ন্যায্য দামে সব্জি মাদার
ডেয়ারির কিছু বিক্রয় কেন্দ্রে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
দুধ তো মিলবেই। সেই সঙ্গে সরকারি দুগ্ধ সংস্থা মাদার ডেয়ারির বিক্রয় কেন্দ্রে এ বার পাওয়া যাবে সব্জিও। চাষিকে তাঁর উৎপাদিত ফসলের যথাসম্ভব ন্যায্য দাম পাইয়ে দেওয়া এবং ক্রেতাকে ন্যায্য দামে সব্জি কেনার সুযোগ দেওয়ার জন্যই এই পরিকল্পনা করেছে রাজ্যের নতুন সরকার। উচিত মূল্যে সব্জি সরবরাহের এই ব্যবস্থা থেকে কোনও রকম লাভ করতে চায় না তারা। পয়লা বৈশাখেই এই ব্যবস্থা চালু হতে পারে কিছু স্টলে।
মাদার ডেয়ারির বিক্রয় কেন্দ্রে সব্জি বিক্রি নিয়ে শনিবার মহাকরণে বৈঠক করেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন দফতরের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস এবং পশুপালন মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরী। বৈঠকের পরে জানানো হয়, প্রথম পর্যায়ে কলকাতা, হাওড়া এবং সল্টলেকে মাদার ডেয়ারির বিভিন্ন বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে সব্জি বিক্রি করা হবে। এই ব্যবস্থায় ফড়েদের ‘বাড়বাড়ন্ত’ অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে আশা করছে সরকার। সেই সঙ্গে জৈব চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে জৈব সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করে উৎপন্ন সব্জি বিক্রিরও চেষ্টা হবে ওই সব বিক্রয় কেন্দ্রে।
অরূপবাবুর বক্তব্য, ফড়েদের জন্য চাষিরা ফসলের ন্যায্য দাম পান না। পাইকারি বাজার থেকে ক্রেতারাও বেশি দামে সব্জি কিনতে বাধ্য হন। মুনাফা লুটে নেয় মধ্যস্বত্বভোগীরাই। এ বার চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি সব্জি কিনে তা বিক্রি করা হবে মাদার ডেয়ারির স্টলে। অরূপবাবু বলেন, “নতুন ব্যবস্থা চালু হলে ওই সব বিক্রয় কেন্দ্রে পাইকারি বাজারের থেকে কম দামে সব্জি মিলবে।” কোন এলাকায় সব্জির চাহিদা কতটা, তা জানতে নিয়মিত সমীক্ষাও চলবে।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী উজ্জ্বলবাবু জানান, কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন ব্লকের প্রায় সাড়ে আট হাজার চাষিকে নতুন ব্যবস্থার আওতায় আনা হচ্ছে। তাঁরা তাঁদের উৎপাদিত সব্জি কলকাতা, হাওড়া ও সল্টলেকে মাদার ডেয়ারির ৫৫টি বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করবেন। পরবর্তী কালে রাজ্যের প্রায় ১২০০ সরকারি দুগ্ধ বিক্রয় কেন্দ্রে সব্জি মিলবে। মাদার ডেয়ারির বিক্রয় কেন্দ্রে সব্জি পৌঁছবে কী ভাবে? খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী জানান, আপাতত খেত থেকে ওই সব বিক্রয় কেন্দ্রে সব্জি নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যান পালন দফতরের বাতানুকূল ভ্যানগুলিকেই কাজে লাগানো হবে। ফসলের দাম, পরিবহণের খরচ এবং সংশ্লিষ্ট দুগ্ধ বিক্রয় কেন্দ্রের কর্মীর পারিশ্রমিক যুক্ত করে সব্জির বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এর থেকে মুনাফা করা সরকারের লক্ষ্য নয় বলে জানিয়েছেন উজ্জ্বলবাবু। |
|
|
 |
|
|