বক্সা পাহাড়ের সৌন্দর্য ও ডুকপা সম্প্রদায়ের সংস্কৃতিকে পযর্টকদের সামনে তুলে ধরতে নববর্ষ ‘লোসার’ পালিত হল লেপচাখা পাহাড়ে। শনিবার সকাল থেকে ডুকপাদের ওই উৎসবে নাচ গানের পাশাপাশি তিরন্দাজি সহ নানা খেলা হয়। লেপচাখায় এ দিন ছিল উৎসবের মেজাজ। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৌদ্ধ ধর্মের হিসেবে এ দিন থেকে নতুন বছর শুরু হল। বক্সা পাহাড়ের ১৩ টি গ্রামে পর্যটনের সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকায় বেশ কিছু হোম ট্যুরিজম চালু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কালচিনির বিডিও থেনডুপ শেরপা বলেন, “লোসারের মত রঙিন অনুষ্ঠান পযর্টকদের কাছে তুলে ধরা গেলে এলাকায় পযর্টনের মান বাড়বে। ইতিমধ্যে আমরা বক্সা পাহাড়ের ট্রেকিং রুটগুলি ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে ঠিক করছি।” |
এদিন সকালে সমতল থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফুট উঁচু লেপচাখা পাহাড়ে পৌঁছে দেখা গেল, ডুকপা সম্প্রদায়ের পুরুষরা বক্কু (পারম্পরিক পোষাক) পরে আছেন। এক পাহাড় থেকে আর এক পাহাড়ে লক্ষ রেখে প্রায় দেড়শো মিটার দূরে দোজু (তির-ধনুক) খেলছেন। মহিলারা কিরাতিগো (পারম্পরিক পোষাক) পড়ে আছেন। পারম্পরিক গানের তালে নাচ করছেন। ধূপ, মুড়ি, বিস্কুট, মাখন চা, চাল দিয়ে তৈরি পানীয় দিয়ে নতুন বছরকে মন্ত্র পড়ে বরণ করেন পুরুষরা। তিরন্দাজির পাশাপাশি পাথর ছুঁড়ে খেলা দুগো, নেপালি ও আদিবাসী নাচও হয়। অনুষ্ঠান চলাকালিন সাতদিন গ্রামের সকলে শুকনো শুয়োরের মাংস ও শাক দিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার পা এবং ভাত খান। জলের বদলে বোতল ভর্তি করে ঠান্ডা মাখন চা খান তাঁরা। তথ্য সংস্কৃতি দফতরের স্টলে সচেতনতামূলক প্রচার ও ডুকপাদের ব্যবহারের নানা জিনিসের প্রদর্শনী করা হয়। রাতের দিকে সচেতনতামূলক তথ্যচিত্র দেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে। অসমের ডিব্রুগড় এলাকা থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন পরিবেশ প্রেমী সৌম্যদীপ দত্ত। তিনি জানান, এখানকার ডুকপা জনজাতি তাঁদের সংস্কৃতি, বৌদ্ধ ধমর্, বক্সা দুর্গ, পাহাড়ের ট্রেকিং রুটের সৌন্দর্যের প্রচার নিয়ে রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিলে পাহাড়ে দুর্গম গ্রামগুলিতে বসবাসকারি ডুকপা জনজাতিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব। |