রাজ্য সরকার যখন মঙ্গলবারের বন্ধ রুখতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে, সচল রাখতে চাইছে সবকিছু-- তখন বন্ধের কারণ দেখিয়েই কলকাতা লিগের ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়ার ফতোয়া জারি করল পুলিশ! যে ম্যাচ দুটির উপর অনেকখানিই নির্ভর করছে খেতাব জয়।
বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে ম্যাচ করার অনুমতি দিয়েও শনিবার রাতে আই এফ এ-কে চিঠি পাঠিয়ে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট তা প্রত্যাহার করে নিল। পুলিশের পক্ষ থেকে যে চিঠি আই এফ এ-তে পাঠানো হয়েছে তাতে লেখা হয়েছে, “২৮ ফেব্রুয়ারি বনধ রয়েছে। ফলে ২৭ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি ম্যাচে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও সাহায্য দেওয়া সম্ভব নয়। আপনারা ম্যাচ বন্ধ রাখুন।” চিঠি হাতে পেয়ে বিশ্মিত আই এফ এ কর্তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে ম্যাচ দুটি সংগঠন করার। কারণ ম্যাচ না হলে এ বারের লিগ শেষ হওয়া মুশকিল।
হঠাৎ-ই পুলিশের ফতোয়া জারিতে আই এফ এ যখন তীব্র সমস্যায় তখন গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো আই এফ এ শিল্ড নিয়েও ঝামেলা তৈরি হল। গোয়ার যে দুটি টিমকে খেলানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল আই এফ এ-- সেই চার্চিল ব্রাদার্স এবং স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়া জানিয়ে দিল সুপার কাপের জন্য তারা শিল্ডে খেলতে পারবে না। ফলে প্রাথমিক সূচি তৈরি করেও তা বদলাতে হচ্ছে আই এফ এ-কে। চেষ্টা চলছে বাংলাদেশ বা মলদ্বীপ থেকে কোনও টিম আনার। যদি না পাওয়া যায়, তা হলে মুম্বই এফ সি বা এয়ার ইন্ডিয়াকে শিল্ডে নেওয়া হবে।
আই এফ এ শিল্ড শুরু করতে চাইছে ৩ মার্চ। হাতে এখনও সময় আছে। কিন্তু লিগ কী ভাবে শেষ হবে তা নিয়েই বেশি চিন্তিত কর্তারা। বহুদিন বন্ধ থাকার পর ২৭ ফেব্রুয়ারি ইস্টবেঙ্গল-টালিগঞ্জ অগ্রগামী এবং ২৯ ফেব্রুয়ারি মোহনবাগান-টেকনো এরিয়ানের ম্যাচ দিয়ে সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। লিগ খেতাবের প্রশ্নে দুটি ম্যাচেরই প্রচন্ড গুরুত্ব রয়েছে। কারণ ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের মধ্যে পয়েন্টের ব্যবধান মাত্র এক। আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “ওই দুটো ম্যাচ না হলে লিগ শেষ করা যাবে না। পুলিশ ম্যাচ করার অনুমতি দিয়েছিল বলেই আমরা সূচি প্রকাশ করেছি। চিঠি লিখে পুলিশকে আবার অনুরোধ জানাব। না হলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে ম্যাচ করাতে হবে। ম্যাচ স্থগিত রাখা সম্ভব নয়।”
এ বার আই এফ এ শিল্ড হবে বারো দলের। আই লিগের কলকাতার তিনটি দলের সঙ্গে পুণে এফ সি, চিরাগ কেরল, পৈলান অ্যারোজ, ভবানীপুর, সাদার্ন সমিতি, টেকনো এরিয়ান খেলছে। আসছে ব্রাজিলের বোতাফোগোর যুব দল। চার্চিল বা স্পোর্টিং ক্লুব না আসায় বারো নম্বর দল নিয়ে সমস্যায় আইএফএ। উৎপলবাবু বললেন, “বিদেশের আর একটি দল আনার চেষ্টা চলছে। না হলে এখানকার দলকে নেওয়া হবে। সোমবারের মধ্যে আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।” |